সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০২ pdf বাংলা বই। সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০২ – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। আমাদের টিম তার “সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০২” বইটি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অসাধারণ এই অসাধারণ বইটি শেয়ার করছি আপনারা খুব সহজের “সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০২” বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা অনলাইনেই পড়ে ফেলতে পারবেন যে কোনো মুহূর্তে।আপনার পছন্দের যে কোনো বই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমাদের সাইটে । ২৯২ পাতার সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০২ বাংলা বইটি (Bangla Boi) স্ক্যন কোয়ালিটি অসাধারণ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে এবং বইটি প্রকাশ করে অন্বেষা প্রকাশন।
হুমায়ূন আহমেদ এর সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০২ বাংলা বইটি সম্পুর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড এবং পড়তে পারবেন। আমরা হুমায়ূন আহমেদ এর সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০২ বই এর পিডিএফ কপি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের মাঝে তা শেয়ার করছি।
নিচের লিংক থেকে ১০ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় হুমায়ূন আহমেদ এর এই জনপ্রিয় সমগ্র বইটি পড়ে নিতে পারবেন।
ফিহা সমীকরন এর মতো সাইন্স ফিকশন দিয়ে শুরু এই সাইন্স ফিকশন সমগ্র এর। হুমায়ূন ভক্তদের জন্য এই সমগ্র গুলা সত্যিই অনেক বেশি পাওয়া। একসাথে পড়ে ফেলতে পারবেন বেশ কয়েকটি সাইন্স ফিকশন ।
ভবিষ্যতের কোন এক সময়ে, মানবজাতি দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে টেলিপ্যাথি আর মাইন্ড কন্ট্রোল এর ক্ষমতা সম্পন্ন মেন্টালিস্ট আর আরেক ভাগে সাধারণ মানুষের দল। যে দল সবচাইতে বেশি শক্তিশালী প্রকৃতিতে তারাই টিকে থাকবে, বাকিরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বিজ্ঞান পরিষদ প্রধান ফিহা একাই লড়ে চলেছেন মানুষের পক্ষে, মানুষ যাতে টিকে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে তার। কিন্তু মেন্টালিস্টরা কি তাকে সেই কাজে সফল হতে দেবে?
গণিতের শিক্ষক মনসুর সাহেবের শিক্ষকতার বয়স ৩২ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কখনো কাউকে ধমক দিয়েছেন বলে মনে হয়না, অথচ কোন কোন এক অজানা কারণে ছাত্ররা তাকে যমের মত ভয় করে। ফিবোনাক্কি রাশিমালার প্রতি মনসুর সাহেবের তীব্র আকর্ষণ। বিখ্যাত গণিতবিদ লিওনার্দো ফিবোনাক্কির আবিষ্কৃত এই রাশিমালার প্রয়োগ প্রকৃতিতে অসংখ্য। সূর্যমুখী ফুলের পাঁপড়ির বিন্যাস, শামুকের স্পাইরেল, সামুদ্রিক কাঁকড়ার দ্বারা বালুতে তৈরি নকশা ইত্যাদি ফিবোনাক্কি রাশিমালা অনুসারে হয়। তাই লিওনার্দো ফিবোনাক্কির মত তিনিও মনে করেন যে প্রকৃতির মূল সমস্যা লুকিয়ে আছে ফিবোনাক্কি রাশিমালায়। প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির এক রাতে মগরা নদীর বাধ পেরুনোর সময় বজ্রপাতের শব্দে অজ্ঞান হয়ে যান মনসুর সাহেব। জ্ঞান ফিরলে পাশে দেখেন এক অপরিচিত যুবক, যে নিজেকে শূন্য জগতের বাসিন্দা বলে দাবী করছে। নামহীন এই যুবক মনসুর সাহেবের সুবিধার জন্য নিজের একটা নাম ঠিক করে দেয় – ফিবোনাক্কি। মনসুর সাহেব পুরো বিষয়টিকে নিজের উত্তপ্ত মস্তিস্কের কল্পনা ভেবে ফিবোনাক্কিকে অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করেন, কিন্তু বারবার এই রহস্যময় তরুণ তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাতে থাকে। তাঁর ভাষ্যমতে – মনসুর সাহেব ফিবোনাক্কি রাশিমালার অন্তরালে নিজস্ব একটি রাশিমালা নিয়ে কাজ করছেন, যে রাশিমালার ভিত্তি শূন্য। শূন্য নিয়ে এই রাশিমালার কাজটা মনসুর সাহেবের দাদা এবং বাবাও শুরু করেছিনে, কিন্তু শেষ করে যেতে পারেন নি। এবার মনসুর সাহেবের পালা, ফিবোনাক্কি এসেছে কাজটা শেষ করতে তাকে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু আসলেই কি তাই??? নাকি দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতাহীন জগতের এই রহস্যময় তরুণের আগমনের পেছনে আছে কোন ভিন্ন ইতিহাস।
মবিনুর রহমানকে হাজতে ঢোকানোর তিন ঘন্টার ভেতর থানার চারপাশে দু’তিন হাজার মানুষ জমে গেল। তারা হৈ চৈ, চিৎকার কিছু করছেনা। চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। সবাই শান্ত। এই লক্ষণ ভালো না। খুব খারাপ লক্ষণ। এরা থানা আক্রমণ করে বসতে পারে। থানায় আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। থানায় টেলিফোন আছে- অতিরিক্ত ফোর্স চেয়ে টেলিফোন করা যায়। কিন্তু টেলিফোন গত এক সপ্তাহ থেকে নষ্ট।
নিউরোলজির অধ্যাপক আনিসুর রহমান খান খুবই বিরক্ত হচ্ছেন। তাঁর ইচ্ছা করছে সামনে বসে থাকা বেকুবটার গালে শক্ত করে থার দিতে। বেকুবটা বসেছে তাঁর সামনে টেবিলের অন্য প্রান্তে। এত দূর পর্যন্ত হাত যাবে না। অবশ্যি তাঁর হাতে প্লাস্টিকের লম্বা স্কেল আছে। তিনি স্কেল দিয়ে বেকুবটার মাথায় ঠাস করে বাড়ি দিয়ে বলতে পারেন—যা ভাগ। কী কী কারণে এই কাজটা তিনি করতে পারলেন না তা দ্রুত চিন্তা করলেন।
পরেশ বৈদ্য নয়াবাজারে একটা কাপড়ের দোকানে কাজ করে। বত্রিশ ভাজা কাজ। সকালে দোকান ঝাড় দিয়ে তার দিনের শুরু হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত খদ্দেরদের সে কাপড় দেখায়, বিকিকিনি করে। ক্যাশ দেখে দুপুরে তার এক ঘণ্টার ছুটি। এই এক ঘণ্টায় সে রান্নাবান্না করে। তার রান্নার হাত ভাল। দোকানের মালিক আজিজ মিয়া তার হাতের রান্নার বিশেষ ভক্ত। অনেককেই তিনি বলেছেন, হিন্দুটা রান্ধে ভাল। বিশেষ করে মাষকলাইয়ের ডাল। বাংলাদেশে এত ভাল মাষকলাইয়ের ডাল আর কেউ যদি রানতে পারে তাহলে আমি কান কেটে ফেলব।
আজিজ মিয়া পরেশ বৈদ্যকে খুবই পছন্দ করেন। মানুষটা সৎ। তার কোন দাবি দাওয়া নাই। থাকা খাওয়া এবং মাসে মাত্র তিনশ টাকায় এমন বিশ্বাসী লোক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আজিজ মিয়া প্রায়ই ভাবেন পরেশের বেতন বাড়িয়ে পাঁচশ করে দেবেন। সেটা সম্ভব হচ্ছে না। দোকানে হাটবার ছাড়া বিকিকিনি একেবারেই নাই। নয়াপাড়া অতি অজ জায়গা। অঞ্চলটাও দরিদ্র। গামছা ছাড়া কাপড় কেনার সামর্থ্যও মানুষের নেই।
সকাল সাড়ে সাতটা। শওকত সাহেব বারান্দায় উবু হয়ে বসে আছেন। তাঁর সামনে একটা মোড়া, মোড়ায় পানিভর্তি একটা মগ। পানির মগে হেলান দেয়া ছোট্ট একটা আয়না। আয়নাটার স্ট্যান্ড ভেঙে গেছে বলে কিছু একটাতে ঠেকা না দিয়ে তাকে দাঁড়া করানো যায় না। শওকত সাহেব মুখ ভর্তি ফেনা নিয়ে আয়নাটার দিকে তাকিয়ে আছেন। দাড়ি শেভ করবেন। পঁয়তাল্লিশ বছরের পর মুখের দাড়ি শক্ত হয়ে যায়। ইচ্ছা করলেই রেজারের একটানে দাড়ি কাটা যায় না। মুখে সাবান মেখে অপেক্ষা করতে হয়। একসময় দাড়ি নরম হবে, তখন কাটতে সুবিধা।
দাড়ি নরম হয়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হবার পর শওকত সাহেব রেজার দিয়ে একটা টান দিতেই তাঁর গাল কেটে গেল। রগটগ মনে হয় কেটেছে, গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। শওকত সাহেব এক হাতে গাল চেপে বসে আছেন। কিছুক্ষণ চেপে ধরে থাকলে রক্ত পড়া বন্ধ হবে। ঘরে স্যাভলন কিছু আছে কিনা কে জানে। কাউকে ডেকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করছে না। সকাল বেলার সময়টা হলো ব্যস্ততার সময়। সবাই কাজ নিয়ে থাকে। কী দরকার বিরক্ত করে?
হুমায়ূন আহমেদের সায়েন্স ফিকশন যেমন হয় আর কি। হার্ডকোর ব্যাপার স্যাপার নাই। এক্সরে বিম বেশি পাস করে, বিজলী পড়ে মানুষজনের সুপারপাওয়ার চলে আসে। এখানেও সেরকম কিছু হয়। এটাও একদিক দিয়ে ভালো; সায়েন্স ফিকশশ তো আর স্পেস শীপ নিয়ে আর ইন্টার গ্যালাক্সি মারামারি নিয়েই হয় না ।
বেশ আগেই পড়ছিলাম। হিজিবিজি অনেক লেখা আছে। প্রথম দিকে কি নিয়ে লেখা কিছুই বোঝা যায় না। আস্তে আস্তে জট খুলতে থাকে। আবার জট পাকায়। এক পর্যায়ে মাঝঝঝি ঝিকররা শুরু করছিল। তবে ব্যাতিক্রমী প্রেক্ষাপটের জন্য বইটা উপভোগ করার মতো।
তিনি নরম গলায় বললেন, ভাই এর কোন সাইড এফেক্ট নেই তো?সেলসম্যান জবাব দিল না, বিরক্ত চোখে তাকাল। তিনি আবার বললেন, তাই এই যন্ত্রটার কোন সাইড এফেক্ট নেই তো? সেলসম্যানের বিরক্তি চোখ থেকে সারা মুখে ছড়িয়ে পড়ল। ভ্রূ কুঁচকে গেল, নিচের ঠোঁট টানটান হয়ে গেল। সে শুকনো গলায় বলল, সাইড এফেক্ট বলতে আপনি কী বুঝাচ্ছেন?মানে নেশা ধরে যায় কি না। শুনেছি একবার ব্যবহার শুরু করলে নেশা ধরে যায়। রাতদিন যন্ত্র লাগিয়ে বসে থাকে…।
এটি হুময়ূন আহমেদের একটি গল্প সংকলন। এখানে তার লেখা সব গল্প এবং একটি অদ্ভুত উপন্যাস দেয়া আছে।। মোট গল্পের সংখ্যা ৮৫ টি।ও একটি উপন্যাস। অনেকের গল্পগুলোর নাম জানতে আগ্রহী হতে পারে।তাদের কথা মাথায় রেখে কভারের সাথে গল্পগুলোর নামের তালিকাও দিলাম।। বইয়ে যত গুলি গল্প আছে সবগুলির রিভিউ দেয়া সম্ভব না।তাই আমার পছন্দের দুটি গল্পের রিভিউ সংক্ষেপে দেয়ার চেষ্টা করলাম।। রিভিউঃ রূপাঃ লোকটি নিজে থেকেই যেচে কথা বলতে লাগলো। প্রথম প্রথম তেমন আগ্রহ দেখালাম না।কেননা এদের লায় দিলে এরা মাথায় চড়ে বসে।অবশেষে লোকটি এমন গল্প শোনালো তাতে অবাক না হয়ে পাড়লাম না। ‘ভাই শোনেন কুড়ি বছর আগের কথা।ঢাকা ভার্সিটিতে অনার্স করছি।একদিন সাবসিডিয়ারি ক্লাসে একটা মেয়েকে দেখে আমার দম বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম। কি মিষ্টি চেহারা,ছায়াময় চোখ।ওকে প্রথম দেখেই অসুস্থ হয়ে পরলাম। এভাবে দু বছর পার করলাম।তারপরে একদিন অসীম সাহসের কাজ করে ফেললাম।তার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ‘আমরণ অনশন’।একসময় ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামলো।
আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০২ বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০২ বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।