সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১ – হুমায়ূন আহমেদ

সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১ pdf বাংলা বই। সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১ – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। আমাদের টিম তার “সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১” বইটি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অসাধারণ এই অসাধারণ বইটি শেয়ার করছি  আপনারা খুব সহজের “সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১” বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা অনলাইনেই পড়ে ফেলতে পারবেন যে কোনো মুহূর্তে।আপনার পছন্দের যে কোনো বই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমাদের সাইটে । ৪৩০ পাতার সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১ বাংলা বইটি (Bangla Boi) স্ক্যন কোয়ালিটি অসাধারণ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০০ সালে এবং বইটি প্রকাশ করে অন্যপ্রকাশ।

বইয়ের বিবরণ

  • বইয়ের নামঃ সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১
  • লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
  • প্রকাশিতঃ ২০০০
  • প্রকাশকঃ অন্যপ্রকাশ
  • সাইজঃ ১০ এমবি
  • ভাষাঃ বাংলা (Bangla/Bengali)
  • পাতা সংখ্যাঃ ৪৩০ টি
  • বইয়ের ধরণঃ সমগ্র
  • ফরম্যাটঃ পিডিএফ (PDF)

সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১ বই রিভিউঃ

হুমায়ূন আহমেদ এর সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১ বাংলা বইটি সম্পুর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড এবং পড়তে পারবেন। আমরা হুমায়ূন আহমেদ এর সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১ বই এর পিডিএফ কপি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের মাঝে তা শেয়ার করছি।

সূচিপত্র

  • তোমাদের জন্য ভালোবাসা
  • তারা তিনজন
  • অন্য ভূবন
  • ইরিনা
  • অনন্ত নক্ষত্র বীথি
  • কুহক

নিচের লিংক থেকে ১০ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় হুমায়ূন আহমেদ এর এই জনপ্রিয় সমগ্র বইটি পড়ে নিতে পারবেন।

ডাউনলোড

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পাঠকদের নিয়ে অবহেলার দৃষ্টিতে তাকানোর নিয়ম আছে। পাঠক সমাজে এরা সর্বনিম্নে অবস্থান করে। ধরা হয়ে থাকে সাহিত্যের মহানবোধ … ইত্যাদি ইত্যাদি থেকে এরা বঞ্চিত। কোনো পাঠক একবার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়া শুরু করলে ভাঙ্গা গ্রামোফোন রেকর্ডের মতো সেখানেই আটকে থাকে। পাঠক আর বেড়ে ওঠেন না।
আমার জন্যে এটা বিরাট দুঃসংবাদ কারণ আমি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর অতি ভক্ত পাঠক। যখন পড়ার মতো কল্পকাহিনী পাই না তখন নিজেই লিখি যেন পড়েতে পারি।
অন্বেষা আমার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর সব লেখা একত্র করেছে। সিরিয়াস পাঠকদের বলছি এই বইয়ের ধারে কাছে যাবেন না। একবার পড়তে শুরু করলে সিরিয়াস পাঠকের মৃত্যু ঘটবে।
আর যারা আমার মতো পাঠক তাদের বলছি- ‘কেঁও মি ছিয়া’ (ভীন গ্রহের প্রাণীর ভাষা। এর অর্থ পাঠের নিমন্ত্রণ।)
হুমায়ূন আহমেদ
নুহাশ পল্লী

পাঁচটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১।

তোমাদের জন্য ভালোবাসা

ফিহা জানালা খূলে দিলেন। বাইরের অপরূপ জোছনা ভাসতে ভাসতে ঘরের ভেতর চলে এল। সেদিক তাকিয়ে থাকতে থাকতে ফিহা অভিভূতের মতো বললেন, ‘দেখো, দেখো, কী চমৎকার জোছনা হয়েছে।’

এই বই এর কাহিনী এক কথায় বলতে গেলে ত্রিমাত্রিক আর চতুর্মাত্রিক জগত এর দ্বৈরথ কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। ভবিষ্যৎ এর পৃথিবী। জ্ঞান বিজ্ঞান এ অনেক এগিয়ে গেছে তারা। আবিষ্কৃত হয় টাইফা নামের অনেক দূরের এক গ্রহ। (তিন লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ)। হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায় গ্রহটি। অদৃশ্য হওয়া শুরু হয় আরো অনেক গ্রহ নক্ষত্রের। অদৃশ্যতার এই করালগ্রাসে এক বছর তিন মাস পর বিলীন হয়ে যাবে পৃথিবী ও।

তারা তিনজন

পরিচিত মানব সভ্যতা থেকে অনেক দূরের ভিন্ন এক গ্রহের কাহিনী। যে গ্রহের বাসিন্দা শুধুমাত্র ৩ টি কিম্ভূতকিমাকার প্রাণী। অয়ু, নীম আর লী। প্রত্যেকের ১১ টি করে পা আর ৩৬ টি করে চোখ। খুবই ভদ্র গোছের ৩ প্রাণী। ৩ জন এক সাথে থাকলে মোকাবিলা করতে পারে যে কোন ধরণের বিপদ। তাঁরা জানে না তাঁদের উৎপত্তি কোথায় । বুদ্ধিমত্তা অনেক উঁচু স্তরের।
সমস্যা টা হইলো অন্য জায়গায়। এ ধরণের উচ্চ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন প্রাণী আগেও বিভিন্ন গ্রহে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, কিন্তু বিভিন্ন কারনে এই প্রাণী গুলোকে কখনো মানব সভ্যতার গবেষণাগার পর্যন্ত আনা সম্ভব হয় নাই। আর একটা ব্যাপার হল এই ধরণের প্রাণী সেই সকল গ্রহতেই দেখা গিয়েছে যেখানে রয়েছে নীওলিথী সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ(৬ টি আকাশ ছোঁয়া ঘর)।
এই নিয়ে গল্প। তবে গল্পটা শেষ করার পর মনে একটা ছোট্ট হলে ও দাগ পড়বে।

অন্য ভূবন

তিন্নি, নয় বছরের ছোট একটি মেয়ে। মানুষের মনের কথা বুঝে ফেলতে পারে। রেগে গেলে যে কারও মস্তিষ্কে প্রবেশ করে তাকে যন্ত্রণা দেয়। তিন্নির বাবা মিসির আলির কাছে আসেন সাহায্য চাইতে। বইটা পড়তে গিয়ে এক পর্যায়ে বেশ ভয় লাগছিল। তবে এতবছর পর মিসির আলির বইগুলো পড়তে গিয়ে লক্ষ্য করছি, কোন বইতেই মিসির আলি সমস্যার সমাধান করতে পারে না। কেবল কিছু থিওরি কপচায়। এমন করতে করতে বইটা হঠাৎ দুম করে শেষ হয়ে যায়। ঘটনা শুরুতে যেমন রহস্যাবৃত ছিল, তেমনই থেকে যায়।

ইরিনা

বইয়ের নাম ইরিনা হলেও অন্যদের তুলনায় তার ভূমিকা নিতান্তই গৌণ। মূল রহস্যের সবচেয়ে প্রধান তিন চরিত্র হল – এক অমর বিজ্ঞানী, মূল কম্পিউটার সিডিসি আর গ্যালাকটিক ইনটেলিজেন্সের প্রধান অরচ লীওন। তবে আমার কাছে মীরের চরিত্রটাও বেশ ভাল লেগেছে, জটিল সব রহস্যের সমাধান আমরা তার কাছ থেকেই জানতে পেরেছি।

মীর ও ইরিনার পরিচয় হয় ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির মুখোমুখি সময়ে একে অপরের বন্ধু হিসাবে। ইরিনাদের এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যেখানে থেকে কোন মানুষ কখনো ফিরে আসেনি। ইরিনা বুঝতে পারছেনা কোন অপরাধে তাকে এখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে ইরিনা তখনো জানতো না তাদের সামনে কত বড় বিপদ, আর তাদের সামনে অপেক্ষমান আছে এমন সব মানুষ যাদের মৃত্যু নেই।

অনন্ত নক্ষত্র বীথি

ছোট বেলা থেকে একটা কল্পনা করতে অনেক ভাল লাগত। কল্পনা করতাম এক দিন আমি কোন এক মহাকাশযান নিয়ে পাড়ি দিব অনন্তের উদ্দেশ্যে। আমি ছাড়া আর কেউ থাকবে না সেখানে। মহাকাশযান এর নাম ‘Benfinity’.
বেনফিনিটির আর্কাইভ এ থাকবে পৃথিবী র সকল মুভি আর বই (season আর anime ও আমার এই কল্পনার আর্কাইভ এ এক সময় স্থান করে নিয়েছে )। ভয়েজার এর মত আমার স্পেসশিপ অসীম এর উদ্দেশ্যে চলতে থাকবে আজীবন।

কুহক

আমার সবসময়ই মনে হয় হুমায়ুন আহমেদ জীবনমুখী সামাজিক ঔপন্যাসিক না হয়ে শুধু থ্রিলার বই লিখলেও যে দুর্দান্ত একজন বিশ্বমানের লেখক হতেন এই বইটা তার প্রমাণ। আমার পড়া অন্যতম সবচেয়ে ইউনিক একটা হুমায়ুন-উপন্যাস, টানটান উত্তেজনার পিওর প্যারানরমাল সাসপেন্স থ্রিলার হিসেবে যেটা পুরোপুরি সফল। বইয়ের শুরুতে কিছুটা সায়েন্সফিকশন এলিমেন্ট থাকলেও পরবর্তিতে কাহিনী বলতে গেলে পুরোপুরিই সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারে পরিণত হয়, সেই সাথে যুক্ত হয় শ্বাসরুদ্ধকর সাসপেন্স। যেকোন নন-হুমায়ুন পাঠককেও আমি এই বইটা পড়তে রেকমেন্ড করব, যদি তার এক্স-ফাইলসীয় রোমাঞ্চ গল্প ভাল লাগে। বহুবছর আগে পড়েছি, ভাবছি আবার রিভাইজ দিতে হবে।

আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১ বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর সাইন্স ফিকশন সমগ্র ০১ বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।

Share