হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীলপদ্ম pdf বাংলা বই। হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীলপদ্ম – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। আমাদের টিম তার “হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীলপদ্ম” বইটি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অসাধারণ এই অসাধারণ বইটি শেয়ার করছি আপনারা খুব সহজের “হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীলপদ্ম ” বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা অনলাইনেই পড়ে ফেলতে পারবেন যে কোনো মুহূর্তে।আপনার পছন্দের যে কোনো বই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমাদের সাইটে । ৫৪৭ পাতার হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীলপদ্ম বাংলা বইটি (Bangla Boi) স্ক্যন কোয়ালিটি অসাধারণ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে এবং বইটি প্রকাশ করে অন্যপ্রকাশ।
হুমায়ূন আহমেদ এর হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীলপদ্ম বাংলা বইটি সম্পুর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড এবং পড়তে পারবেন। আমরা হুমায়ূন আহমেদ এর হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীলপদ্ম বই এর পিডিএফ কপি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের মাঝে তা শেয়ার করছি।
নিচের লিংক থেকে ৪০ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় হুমায়ূন আহমেদ এর এই জনপ্রিয় সমগ্র বইটি পড়ে নিতে পারবেন।
পাঁচটি বইয়ের / উপন্যাসের সমগ্র এই বইটি । প্রথম উপন্যাস টি হলো একজন মায়াবতী। বইটি পড়ার সময় আমার কাছে সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছিল মীরাকে। এত ওভার কনফিডেন্স মানুষ আমার মোটেই পছন্দ না। তাছাড়া সে নিজেকে খুব বুদ্ধিমতী ভাবে। এটাও ভালো লাগেনি। মীরাকে যেমন ভালো লাগেনি তেমনি তার পুরোনো প্রেমিক মইন সাহেবকেও ভালো লাগেনি।
মনজুরকে অনেক ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এজন্য যে তার মধ্যে কোনো ভান নেই। সবাই ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেনা। প্রত্যেকে নিজের মত করে ভালোবাসে। মনজুরও মীরাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু মীরা তা কখনো বুঝতে পারেনি। মীরা তো বুদ্ধির জাহাজ নিয়ে ঘুরাফেরা করে তাই বলে যে মনজুরের ভেতরে ভালোবাসা নেই। ওর সাথে মীরাকে একদমই মানায় না। মানায় জাহানারার মত মেয়েকে। যে মনজুরকে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসে। আমি শেষে চাচ্ছিলাম জাহানারার সাথেই মনজুরের বাকি জীবনটা কাটুক। মীরার মত এমন মেয়ের সাথে না যার মন এখনো মইনের মত একটা ফালতু লোকের কাছে ছুটে যেতে চায়। কিন্তু শেষে যা পড়লাম তাতে মনে হল মনজুরের ভাগ্যে বোধহয় মীরাই আছে!!
তারপর আসি এই বইয়ের দ্বিতীয় উপন্যাসে। কৃষ্ণপক্ষ হলো এই বইয়ের দ্বিতীয় উপন্যাস। অরু ও মুহিব বর্তমান প্রজম্মের দুই তরুণ তরুণী। হৃদয় জুড়ে আছে তাদের অকৃত্রিম ভালোলাগা ও ভালোবাসা। তাইতো একে অপরের কাছে এসেছে প্রকৃতির নিয়মে খুব সহজেই।টুকরো টুকরো আনন্দময় কিছু মুর্হুত তাদের জীবনে ছিল। সময়ের স্রোতে এগিয়ে গেছে তারা স্থির সিন্ধান্তের দিকে।
কিন্তু নাহ্। তারা পারেনি। বিবাহিত জীবন শুরু করেও পারেনি সুখময় দাপম্পত্য জীবন গড়ে নিতে। অকস্মৎ এক দুর্ঘটনায় মুহিব বিদায় নেয় এই মায়াময় পৃথিবী থেকে। স্বভাবতই অরুর জীবনে নেমে আসে এক ভয়াবহ বিচ্ছিন্নতা। কিন্তু অরুকে তবুও বাঁচতে হবে। বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে পারিবারিক নির্দেশে সে আবার ঘর বাঁধে।
সময়ও দ্রুত এগিয়ে চলে। সে হয় জননী।
দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর তার প্রথম মেয়ের বিয়েতে দুই যুগ পূর্বের নির্দিষ্ট স্মৃতি তাকে হঠাৎ অসুস্থ করে তুললো। ছোট মেয়ে কান্তার একটা কথা।আপা দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে।‘বন ফায়ার হবে’ অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে তিনি সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।
পেন্সিলে আঁকা পরী হলো তৃতীয় উপন্যাস। জীবনের নির্মম বাস্তবতা আর চারপাশের সমাজ নামের বিষাক্ত স্বত্তার নিঃশ্বাসের মাঝেও কিছু মানুষ তাঁর স্বপ্নকে আগলে রাখে। বেঁচে থাকার তাগিদে ধরতে হয় ভিন্ন ভিন্ন রূপ । বেঁচে থাকার জন্য কখনো লালসার থাবার নিচে হতো হয় বেশ্যা, কখনো নিজের চোখে নিজেকে হারিয়ে হতো হয় আধার আমাবস্যা। কখনো টেপী হতে হয়, কখনো রেশমা হতে হয় আবার কখনো নিজের আপন পৃথিবীতে মিতু হয়ে ফিরে আসতে হয়। তবুও বাঁচতে ইচ্ছে করে, ভালোবাসা পেতে ইচ্ছা করে। মানুষ তো। জীবন যতই নির্মম হোক তবুক মানুষকে তাঁর আবেগ, স্বপ্নগুলো পশু হতে দেয় না। মানুষ করে রাখে। আর সেই সংগ্রামের আকাশে কোন একদিন সৌভাগ্যের চাঁদ ঝিমমিক করে। আর এই ব হুরূপী বেঁচে থাকার গল্পটা বেশ নিপুণভাবে উপস্থাপন করেছে লেখক।
খামখেয়ালী চিন্তা আর বাস্তবতার প্রহারের এক অদ্ভুত যুগলবন্দী করেছেন লেখক বইটিতে আর লেখকের আর পাঁচটি হতে লেখাটিকে আলাদা করেছে ।
এই উপন্যাসটা মুলত দিলু এবং নিশাতকে নিয়ে এরাই গল্পের প্রধান চরিত্র। নিশাত,, অসম্ভব রুপবতী একটা মেয়ে। বিয়ের কয়েক বছর পরই তার স্বামী মারা যায়।তার স্বামী ছিল কবির। আমুদে ছেলে।হৈচৈ করতো সবসময়। প্রচুর মিথ্যে কথা বলতো।নিশাতের মতে কবির এমন ছেলে যে পৃথিবীর যে-কোনো মেয়েকে বিয়ে করেই সুখী হতো।এই সব ছেলেদের সুখী হওয়ার ক্ষমতা অসাধারণ।কিন্তু নিশাত সুখী হতে পারেনি। দিলু,,, দিলুর বয়স চৌদ্দ বা পনেরো। এই বয়সে চেনা মেয়েগুলিকে ও অচেনা লাগে।বড় বেশি আবেগী মেয়ে অল্পতেই তার চোখে পানি আসে। ডাকবাংলোতে আসার পর থেকেই দিলু জামিলের প্রতি অন্য এক টান অন্য রকম অনুভূতি অনুভব করতে থাকে। দিলুর মা রেহানা বেগম সেটা বুঝতে পারেন এর জন্য তিনি বিরক্ত হয়ে আছেন।
এদিকে ফটোগ্রাফার সাব্বিরের নিশাতকে পছন্দ হয় এবং সে তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। নানা ঘটনার পর জামিল এর সাথে নিশাতের সম্পর্কের কথা জানতে পারে। এখন কি করবে দিলু? জামিল বা পরিবারকে জানাবে কি তার ভালবাসার কথা। সুন্দর একটা বই যারা পড়েননি পড়ে ফেলুন তারাতারি।
মেঘ বলেছে যাবো।আকাশের মেঘেরা কি কথা বলে? তারা কি যেতে চায় কোথাও? তারা কোথায় যেতে চায়? বর্ষান ঘন কালো আকাশের দিকে তাকিয়ে চিত্রলেখার হঠাৎ এই কথা মনে হল। দশ-বার বছরের কিশোরীর মনে এর রকম একটা চিন্তা আসতে পারে, চিত্রলেখার বয়স পঁচিশ। এ রকম উদ্ভট তার জন্যে স্বাভাবিক নয়। তবুও কেন জানি নিজেকে তার মেঘের মতো মনে হয়। তার কোথায় জানি যেতে ইচ্ছা করে। এ রকম ইচ্ছা তো সব মানুষেরই কবে। সব মানুষের ভেতরই কি তাহলে এক টুকরা মেঘ ঢুকে আছে, যে কেবলি কোথাও যেতে চায়?
আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীলপদ্ম বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। অসাধারণ পাঁচটি উপন্যাস নিয়ে এই বইটি সমগ্র বিভাগে স্থান পেয়েছে । হুমায়ূন আহমেদ ভক্ত হলে এই বই গুলো পড়তেই হবে। হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর হুমায়ূন আহমেদের হাতে পাঁচটি নীলপদ্ম বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।