শুভ্র সমগ্র – হুমায়ূন আহমেদ

শুভ্র সমগ্র pdf বাংলা বই। শুভ্র সমগ্র – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। আমাদের টিম তার “শুভ্র সমগ্র” বইটি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অসাধারণ এই অসাধারণ বইটি শেয়ার করছি  আপনারা খুব সহজের “শুভ্র সমগ্র” বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা অনলাইনেই পড়ে ফেলতে পারবেন যে কোনো মুহূর্তে।আপনার পছন্দের যে কোনো বই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমাদের সাইটে । ৬২৪ পাতার শুভ্র সমগ্র বাংলা বইটির (Bangla Boi) স্ক্যন কোয়ালিটি অসাধারণ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে এবং বইটি প্রকাশ করে অনন্যা।

বইয়ের বিবরণ

  • বইয়ের নামঃ শুভ্র সমগ্র
  • লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
  • প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারী ২০০৮
  • প্রকাশকঃ অনন্যা
  • সাইজঃ ২৩ এমবি
  • ভাষাঃ বাংলা (Bangla/Bengali)
  • পাতা সংখ্যাঃ ৬২৪ টি
  • বইয়ের ধরণঃ গল্প
  • ফরম্যাটঃ পিডিএফ (PDF)

শুভ্র সমগ্র বই রিভিউঃ

হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্র সমগ্র বাংলা বইটি সম্পুর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড এবং পড়তে পারবেন। আমরা হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্র সমগ্র বই এর পিডিএফ কপি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের মাঝে তা শেয়ার করছি।

সূচিপত্র

  • দারুচিনি দ্বীপ
  • রূপালী দ্বীপ
  • শুভ্র
  • এই শুভ্র এই
  • শুভ্র গেছে বনে

নিচের লিংক থেকে ৩২ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় হুমায়ূন আহমেদ এর এই জনপ্রিয় গল্পের বইটি পড়ে নিতে পারবেন।

ডাউনলোড

দারুচিনি দ্বীপ

দারুচিনি দ্বীপ জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্রকে নিয়ে লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি একটি বহুল পঠিত উপন্যাস।
উপন্যাসে কানাবাবা নামে খ্যাত শুভ্র এবং তার বন্ধু-বান্ধবরা প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার আয়োজন করে। পুরো উপন্যাসটিতে তাদের সমুদ্রে যাওয়ার আয়োজন বর্ণিত হয়েছে।
দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাসটি নিয়ে ২০০৭ সালে অভিনেতা এবং নির্মাতা তৌকির আহমেদ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম থেকে একই শিরোনামে দারুচিনি দ্বীপ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

রূপালী দ্বীপ

হুমায়ুন আহমেদের মাঝারী আঁকারের উপন্যাস। এটি মূলত হুমায়ুন আহমেদেরই আরেক উপন্যাস “দারুচিনি দ্বীপের” পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ। এইদিক থেকে একে “দারুচিনি দ্বীপে”র দ্বিতীয় খণ্ড বলা যায়। দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাসে কুশীলবদের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাবার উদ্দেশ্যে ট্রেনে চড়ার মাধ্যমে উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটে। যেখান থেকে দারুচিনি দ্বীপ সমাপ্ত হয় সেখান থেকেই শুরু হয় রূপালী দ্বীপ।
জরি নামের যে চরিত্র বিয়ের আসর থেকে বিয়ের পালিয়ে এসেছিল সে বিয়ের আসরের জামাই পরে তাদের যাত্রায় ঝামেলা করেছিল। চট্টগ্রাম নামতেই তাদের পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়। বিয়ের আসর থেকে পাত্রীকে পালাতে প্ররোচিত করা, সাথে ভাগিয়ে নিয়ে আসা (অপহরণ), এবং স্বর্ণালংকার সংক্রান্ত মামলা করেছিল সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা তরুণ তরুণীদের বিরুদ্ধে। সবাইকে জেলে যেতে হয়েছিল।
ঘটনার চক্রে জেল থেকে তারা বের হয় এবং সেন্ট মার্টিন যাবার জন্য ট্রলারে ওঠার আগ পর্যন্ত চারজন ঢাকায় ফিরে আসে। শেষমেশ তারা কয়েকজন দ্বীপে যায় এবং দ্বীপের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়। শুভ্র নামের যে ছেলেটার চোখে সমস্যা সে বেশিক্ষণ সৌন্দর্য দেখতে পারে না। অন্ধ হয়ে যায় একদমই।

শুভ্র

বইটা দারুন। মনের ভিতর বেশকিছু উপলব্ধি সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে এই বই। বইটা মুর্হুতে মনকে খারাপ করে আবার মুর্হুতে মনকে উজ্জীবিত করে। কঠিন সব বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। হুবহু এমন না হলেও কম বেশী এরকম কঠিনতার ভিতর দিয়ে সবাই যায়। যারা জীবনে সংগ্রামরত অবস্থায় আছেন তাদের জন্য বইটা হবে অনুপ্রেরণামূলক। কিছু ব্যাপার একটু অসংগতিপূর্ণ ঠেকেছে বইতে। যেমন শুভ্রর বাবা মারা যাওয়ার পরও ওর হাসি হাসি মুখে চা খাওয়া। কোনো ছেলেই সাধারনত এমনটা পারেনা। এছাড়া ওর রাগের বহিঃপ্রকাশ। তবে ঘোর লাগানো বইটা পাঠককে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে। যেখানে রয়েছে বাধাকে ডিঙিয়ে সাফল্যকে জয় করার অদম্য প্রেরণা।
শুভ্র যখন পড়া শুরু করি তখন ঠিক জানতাম না এর গভীরতা কতটুকু। পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলাম আমি এই উপন্যাসের পাতায় পাতায়।।। মা জাহানারা, বাবার বন্ধু হাবীবুর রহমান, তার মেয়ে বিনু,মীরা, আসমানী এই চরিত্রগুলা ভাল লেগেছে।

এই শুভ্র! এই

রুনু বসে আছে ইঞ্জিন বসানো ছোট্ট একটা নৌকার পাটাতনে। পাটাতনে শীতলপাটি বিছানো। শুভ্র পা ছড়িয়ে হাতে ভর দিয়ে অদ্ভুত ভঙ্গিতে আধশোয়া হয়ে আছে। তার দৃষ্টি স্থির না। সে সব কিছুর উপর দিয়ে চোখ বুলিয়ে যাচ্ছে। মাঝে-মাঝে হাসিমুখে তাকাচ্ছে রুনুর দিকে। মনজু বসেছে মাঝির কাছে। নৌকার অল্প অল্প পানি উঠছে। মনজু অতি ব্যস্ত ভঙ্গিতে সেই পানি তুলে নদীতে ফেলছে।

শুভ্র গেছে বনে

শুভ্র হঠাৎ একটু নড়েচড়ে বসল। তার বেঞ্চের এক কোনায় অল্পবয়েসী একটা মেয়ে এসে বসেছে। বাচ্চা মেয়ে।পনেরো-ষোল বছরের বেশি বয়স হবে না। মেয়েটা এত রাতে পার্কে কী করছে কে জানে! তবে মেয়েটা বেশ সহজ-স্বাভাবিক। তার সঙ্গে লাল রঙের ভ্যানিটিব্যাগ। সে ব্যাগ খুলে একটা লিপস্টিক বের করল। আয়না বের করল। এখন সে আয়োজন করে ঠোঁটে লিপস্টিক দিচ্ছে। এত রাতে মেয়েটা সাজগোজ শুরু করেছে কেন কে জানে! শুভ্র আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে।এখন সে কপালে একটা লাল রঙের টিপ দিয়ে শুভ্রর দিকে তাকিয়ে বলল, ভাইজান দেখেন তো টিপটা মাঝখানে পড়ছে ?

আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্র সমগ্র বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর শুভ্র সমগ্র বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।

Share