হিমুর রূপালী রাত্রি – হুমায়ূন আহমেদ

হিমুর রূপালী রাত্রি – হুমায়ূন আহমেদ

হিমুর রূপালী রাত্রি – হুমায়ূন আহমেদ

বইঃ হিমুর রূপালী রাত্রি ।
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ।
ভাষাঃ বাংলা।
প্রকাশনিঃ অন্য প্রকাশ।

এই বইয়ে বানী

‘মেয়েরা ধৈর্য ধরে বেশীক্ষন অপেক্ষা করতে পারে না। বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছেলেরা যেখানে দু-তিনবার কলিং বেল টিপবে, মেয়েরা সেখানে কলিং বেল টিপে যেতেই থাকবে।’
✔ হিমুর রূপালী রাত্রি ।। হুমায়ূন আহমেদ

‘ক্ষমতাবান মানুষদের জন্যে হাসপাতাল খুব খারাপ জায়গা। হাসপাতালের অপরিসর বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে ক্ষমতাবান মানুষেরা এক সময় হঠাৎ বুঝতে পারেন-ক্ষমতা ব্যাপারটা আসলে ভুয়া। মানুষকে কখনোই কোন ক্ষমতা দেয়া হয়নি।’
✔ হিমুর রূপালী রাত্রি ।। হুমায়ূন আহমেদ

ফ্ল্যাল্পে লিখা কথা
বাবা আমার নাম রেখেছিলাম হিমালয়, হিমালয় থেকে হিমু। দুই অক্ষরের ছোট্ট একটা নাম। নামের মধ্যেই ঠান্ডা ভাব। বাবা বলেছিলেন, হিমালয় শোন, তুই পথে পথে হাঁটবি। তোর কাজ হলো শহর দেখা। আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম, শহরে দেখার কি আছে? ইটের দালন। তিনি অত্যান্ত বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, যে দেখতে পারে সে ইটের দালানেও অনেক কিছু দেখতে পারে। যে দেখতে পারে না তাকে এই পৃথিবীর সবচে সুন্দর দৃশ্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেও সে কিছু দেখতে পারে না। তুই শহরের পথে পথে হাঁটবি, রাতে হাঁটবি। অন্ধকারে শহর দেখার মজাই অন্য রকম।
বাবার উপদেশ মেনে আমি প্রায়ই অন্ধকারে শহর দেখতে বের হই। যে রাতে ব্ল্যাক আউট হয়। শহর ঘন অন্ধকারে ডুব যায়, আমি হলুদ চাদর গায়ে পথে নামি। মনে মনে বলি, হে অন্ধকার নগরী! তুমি দেখাও দাও।
নগরী দেখা দেয় না। আমি অপেক্ষা করি।

বইয়ের রিভিউঃ

হিমু আর তামান্নার বিবাহের কার্ডটা সুন্দর।ধবধবে সাদা কার্ডে রূপালি লেখা। জ্যোৎস্না জ্যোৎস্না ভাব। বিয়ের তারিখও পড়েছে পূর্ণিমা রাতে। রূপা হাসলো। এম্নিতে সে খুব কম হাসে।ছোটবেলায় কেউ বোধহয় তাকে বলেছিলো কম হাসতে। তাকে বিষন্ন অবস্থায় দেখতে ভাল লাগে। ব্যাপারটা তার মাথায় ঢুকে গেছে, সে জন্যেই সারাক্ষণ বিষন্ন থাকে।  এই নিয়ে সে হাসলো চারবার, পঞ্চমবার হাসলেই ম্যাজিক নাম্বার পূর্ণ হবে। তখন আমাকেই চলে যেতে হবে।—”হাসছ কেন রূপা?—-তুমি বদলে যাচ্ছ এই জন্যে হাসছি। মানুষকে আগে তুমি ধোঁকা দিতেনা এখন দিচ্ছ।—কাকে ধোঁকা দিচ্ছি?
তামান্না নামের মেয়েটাকে দিচ্ছ।বিয়ের রাতে সবাই উপস্থিত হবে শুধু তুমি হবেনা।তুমি জ্যোৎস্না দেখতে জংগলে চলে যাবে।মেয়েটার কি হবে ভেবেছ কখনো?===গাজীপুর জংগল শালবনে জ্যোৎস্না দেখতে ঢুকে গেলাম।/আমি ঘর ছাড়িয়া বাহির হইয়া জ্যোৎস্না ধরতে যাই।/হাত ভর্তি চাঁদের আলো, ধরতে গেলে নাই।/তামান্নার হাত ধরা হলোনা আর/কারণ হিমুরা কারো হাত ধরেনা। /হাত ধরলেই মায়ায় পরে যাবে, মায়া তখন অসহায়।/পৃথিবীও তখন অসহায় হয়ে যাবে মায়ার কাছে।===হিমু বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র। হিমু একজন বাউন্ডুলে ধরনের যুবক।বয়স ২৫-৩০ বছরের মধ্যে। তার পোশাক ও গেট-আপ কিছু কিছু মানুষের কাছে বিরক্তিকর । সে খুব একটা সুদর্শন না কিন্তু তার চোখ ও হাসি খুব সুন্দর হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তার মহাপুরুষ তৈরির বিদ্যালয় ছিল যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না। হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ।/লেখক পরিচিতি: হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক।

ডাউনলোড

Similar titles

মাটি আর নেই – প্রফুল্ল রায়
প্রিয়জন – ইমদাদুল হক মিলন
সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র – হেমেন্দ্রকুমার রায়
হিমু এবং হার্ভার্ড Ph.D. বল্টু ভাই – হুমায়ুন আহমেদ
মুক্তা আবরণে – প্রচেত গুপ্ত
তিন পুরুষ – সমরেশ বসু
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ – হুমায়ূন আহমেদ
আমার উর্মি – নিমাই ভট্টাচার্য
অক্রূর সংবাদ – বাণী বসু
রসেবশে – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
অপরাহ্ণ – হুমায়ূন আহমেদ
তপস্বী ও তরঙ্গিণী – বুদ্ধদেব বসু

(1) comment

  • Imranএপ্রিল 12, 2020জবাব

    স্যার এর বইকে যতই প্রশংসা করি না কেনো সেটা কম হবে।

Leave a comment

Name *
Add a display name
Email *
Your email address will not be published
Website