হিমুর দ্বিতীয় প্রহর – হুমায়ূন আহমেদ
হিমু বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র। হিমু একজন বাউন্ডুলে ধরনের যুবক।বয়স ২৫-৩০ বছরের মধ্যে। “হিমু” কে নিয়ে লেখক অনেকগুলো বই লিখেছেন। তার মধ্যে “হিমুর দ্বিতীয় প্রহর” অন্যতম।বইটির কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে দিচ্ছি- ”অনেকক্ষণ রাস্তায় হাঁটলাম। এক সময় মনে হল সোডিয়াম ল্যাম্পের আলো বাদ দিয়ে জোছনা দেখা যাক। কোন একটা গলিতে ঢুকে পড়ি। দুটা রিকশা পাশাপাশি যেতে পারে না এমন একটা গলি। খুব ভাল হয় যদি অন্ধগলি হয়। আগে থেকে জানা থাকলে হবে না। হাঁটতে হাঁটতে শেষ মাথায় চলে যাবার পর হঠাৎ দেখব পথ নেই। সেখানে সোডিয়াম ল্যাম্প থাকবে না – শুধুই জোছনা।/ ঢুকে পড়লাম একটা গলিতে। ঢাকা শহরের মাঝখানে এই গলি। গলির নাম বলতে চাচ্ছি না। আমি চাচ্ছি না কৌতূহলী কেউ সেই গলি খুঁজে বের করুক। কিছুদূর এগুতেই কয়েকটা ককুর চোখে পড়ল। এরা রাস্তার মাঝখানে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে ছিল – আমাকে দেখে সবাই একসঙ্গে উঠে দাঁড়াল। সব মিলিয়ে চারটা কুকুর।/একজন মানুষ তার এক জীবনে অসংখ্যবার তীব্র ভয়ের মুখোমুখি হয়। তুমিও হইবে। ইহাই স্বাভাবিক। ভয়কে পাশ কাটাইয়া যাইবার প্রবণতাও স্বাভাবিক প্রবণতা। তুমি অবশ্যই তা করিবে না। ভায় পাশ কাটাইবার বিষয় নহে। ভয় অনুসন্ধানের বিষয়। ঠিকমতো এই অনুসন্ধান করিতে পারিলে জগতের অনেক অজানা রহস্য সম্পর্কে অবগত হইবে। তোমার জন্য ইহার প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে তোমাকে বলিয়া রাখি, এই জগতের রহস্য পেয়াজের খোসার মতো। একটি খোসা ছাড়াইয়া দেখিবে আরেকটি খোসা। এমনভাবে চলিতে থাকিবে- সবশেষে দেখিবে কিছুই নাই। আমরা শূন্য হইতে আসিয়াছি, আবার শূন্যে ফিরিয়া যাইব। দুই শূন্যের মধ্যবর্তী স্থানে আমরা বাস করি। ভয় বাস করে দুই শূন্যে। এর বেশি এই মুহূর্তে তোমাকে বলিতে ইচ্ছা করি না।”
বইয়ের নামঃ হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ
সাইজঃ ৬ এমবি
ফরম্যাটঃ পিডিএফ
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা হিমু সিরিজের বইগুলো সত্যিই অসাধারণ । আর এর মধ্যে জনপ্রিয় একটি উপন্যাসের নাম হলো ”হিমুর দ্বিতীয় প্রহর” । উপন্যাসটি পড়তে বেশ ভালোই লাগলো। এই উপন্যাসটি পড়তে পড়তে হিমুর সাথে তুলনা করে নিজেকে কল্পনায় ভাসানো হয় । সত্যিই অসাধারণ একটি উপন্যাস ”হিমুর দ্বিতীয় প্রহর” ।
হিমু শেষ না করে বই ধরছি না
নেশা
জি পড়তে থাকুন। আমাদের মেইন সাইট কি ভিজিট করেছিলেন কি?