লীলাবতীর মৃত্যু – হুমায়ূন আহমেদ

লীলাবতীর মৃত্যু pdf বাংলা বই। লীলাবতীর মৃত্যু – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। আমাদের টিম তার “লীলাবতীর মৃত্যু” বইটি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অসাধারণ এই অসাধারণ বইটি শেয়ার করছি  আপনারা খুব সহজের “লীলাবতীর মৃত্যু” বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা অনলাইনেই পড়ে ফেলতে পারবেন যে কোনো মুহূর্তে।আপনার পছন্দের যে কোনো বই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমাদের সাইটে । ৯৬ পাতার লীলাবতীর মৃত্যু বাংলা বইটি (Bangla Boi) স্ক্যন কোয়ালিটি অসাধারণ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে এবং বইটি প্রকাশ করে অন্যপ্রকাশ ।

বইয়ের বিবরণ

  • বইয়ের নামঃ লীলাবতীর মৃত্যু
  • লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
  • প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
  • প্রকাশকঃ অন্যপ্রকাশ
  • সাইজঃ ১১ এমবি
  • ভাষাঃ বাংলা (Bangla/Bengali)
  • পাতা সংখ্যাঃ ৯৬ টি
  • বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস
  • ফরম্যাটঃ পিডিএফ (PDF)

লীলাবতীর মৃত্যু বই রিভিউঃ

হুমায়ূন আহমেদ এর লীলাবতীর মৃত্যু বাংলা বইটি সম্পুর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড এবং পড়তে পারবেন। আমরা হুমায়ূন আহমেদ এর লীলাবতীর মৃত্যু বই এর পিডিএফ কপি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের মাঝে তা শেয়ার করছি।

‘লীলাবতীর মৃত্যু’ হুমায়ূন আহমেদ এর শেষ কিছু লেখার একটি সংগ্রহ। বৃদ্ধবয়সে মৃত্যুকালে মানুষ ধর্মচিন্তা নিয়ে বেশী ভাবিত থাকে, এটি হুমায়ূন আহমেদের নিজের পর্যবেক্ষণ। পূর্ববর্তী বিভিন্ন বইতে একাধিক বার এ বিষয়টি তিনি দেখিয়েছেন। এ বইটির উপকরণগুলো তাঁর এ পর্যবেক্ষণেরই প্রতিফলন। বইতে সংকলিত সবগুলো লেখাতেই ঘুরেফিরে এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস ও মৃত্যুচিন্তার কথা। অনেকটাই আত্নচরিতমূলক বইটির নাম নির্বাচন করা হয়েছে ‘লীলাবতীর মৃত্যু’ শিরোনামের লেখাটিকে অনুসরণ করে। লীলাবতী হুমায়ূন আহমেদ ও মেহের আফরোজ শাওনের প্রথম সন্তান, গর্ভাবস্থায়ই যার মৃত্যু হয়। কন্যার বয়েসী শাওনকে বিয়ে করে হুমায়ূন প্রেমিক না লম্পট, নিজের কোন সত্ত্বাটির পরিচয় দিলেন, এটি একটি অনর্থক বিতর্ক

নিচের লিংক থেকে ১১ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় হুমায়ূন আহমেদ এর এই জনপ্রিয় উপন্যাস এর বইটি পড়ে নিতে পারবেন।

ডাউনলোড

হুমায়ূন আহমেদকে আমার একজন বিষণ্ণ মানুষ বলে মনে হয় সবসময়। তাঁর মাঝে যে বিষণ্ণতা ছিল, পাঠকের মনের কোন এক বিষণ্ণতার সাথে তা জড়িয়ে যেত সবসময়। এ জন্যই হয়ত তাঁর মত পাঠকের কাছাকাছি আর কেউই আসতে পারেন নি। আমার ধারণা এমন কেউই নেই যে তাঁর লেখা শেষ না করে উঠে আসে! তাঁর লেখনীর এমনই আকর্ষণ!

শেষ বয়সে সবাই ধর্মকর্মের দিকে একটু ঝুঁকে যায়, এ লেখা পড়ে আমারও তাই মনে হল উনাকে নিয়ে। তবে খটকা লাগল বইটার নামটা পড়েই। এটা উনার বেশ কিছু লেখার সংকলন এবং প্রকাশকাল মৃত্যুর পরে। তাই এটার নাম নিশ্চয়ই তিনি দেন নি। যিনি দিয়েছেন সেটায় কিছুটা ব্যক্তি-স্বার্থ সম্পর্কিত বলে আমি মনে করি। কারণ আমি নিজেই বইটি পড়েছিলাম এই ভেবে যে লীলাবতিকে নিয়েই হয়ত পুরোটা লেখা! তাই নামটা এটা না হয়ে অন্যকিছু হওয়াটাই বেস্ট ছিল।

ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদের বেশ কিছু জিনিস আমার পছন্দ না। আমরা যারা কারো ভক্ত তাঁদের একটা সমস্যা হল আমরা আমাদের সেই প্রিয় মানুষের দোষটার পক্ষেই সাফাই গাইতে পছন্দ করি। আমাদের প্রিয় ব্যক্তিও যে ভালমন্দ মিলিয়েই একজন মানুষ এটা বুঝতে চাই না। হয়ত এ জন্যেই রবীন্দ্রনাথকে আমরা দেবতার আসনে বসিয়েছি। আর তাঁকে নিয়ে কিছু নেতিবাচক মন্তব্য করলেই রবীন্দ্রভক্তরা ক্ষেপে উঠবে নিশ্চিত। তবে আমিও যে তাদের মতই, কিংবা তাদের থেকে বেশি কবিগুরুকে শ্রদ্ধা করি এটা এখানে না বললেও চলে।

প্রসঙ্গ থেকে অনেকটা সরে এসেছি, এসব বলার কারণ হল এই বইটায় স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় যে হুমায়ূন আহমেদ কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক ও সুবিধাবাদী প্রকৃতির মানুষ। অশ্রদ্ধা করছি না, কিন্তু আমার মনে হয়েছে। মনে হয়েছে যেকোন কিছু হলে আগে সেখানে নিজের অবস্থানটাই আগে দেখে নিতেন তিনি।

সেটা হতেই পারে, তিনিও আমাদের মতই একজন। আমরা তাঁর কোন কাজের প্রশংসা যদি করতে পারি তাহলে তাঁর কোন কাজের জন্য সমালোচনাও ককরতে পারি। এটা মানতেই হবে।

হুমায়ূন আহমেদ একজন আবেগপ্রবণ মানুষ। তাঁর আবেগ তিনি ছড়িয়ে দিতে পারেন খুব সহজেই। যেকোন হুমায়ূন-ভক্তের মন খারাপের একটা মুহূর্ত এই বইটার জন্য দেওয়া যেতে পারে।

আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর লীলাবতীর মৃত্যু বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর লীলাবতীর মৃত্যু বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।

Share