বাদশাহ নামদার – হুমায়ূন আহমেদ

বাদশাহ নামদার pdf বাংলা বই। বাদশাহ নামদার – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। আমাদের টিম তার “বাদশাহ নামদার” বইটি সংগ্রহ করেছে এবং আপনাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর এই অসাধারণ বইটি শেয়ার করা হয়েছে ।  আপনারা খুব সহজের “বাদশাহ নামদার” বইটি পড়ে ফেলতে পারবেন যে কোনো মুহূর্তে।আপনার পছন্দের যে কোনো বই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমাদের সাইটে । ২৩২ পাতার বাদশাহ নামদার বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা অনলাইবাংলা বইটি (Bangla Boi) স্ক্যন কোয়ালিটি অসাধারণ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১১ সালে এবং বইটি প্রকাশ করে অন্যপ্রকাশ।

বইয়ের বিবরণ

  • বইয়ের নামঃ বাদশাহ নামদার
  • লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
  • প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারী ২০১১
  • প্রকাশকঃ অন্যপ্রকাশ
  • সাইজঃ ১২ এমবি
  • ভাষাঃ বাংলা (Bangla/Bengali)
  • পাতা সংখ্যাঃ ২৩২ টি
  • বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস
  • ফরম্যাটঃ পিডিএফ (PDF)

বাদশাহ নামদার বই রিভিউঃ

হুমায়ূন আহমেদ এর বাদশাহ নামদার বাংলা বইটি সম্পুর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড এবং পড়তে পারবেন। আমরা হুমায়ূন আহমেদ এর বাদশাহ নামদার বই এর পিডিএফ কপি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের মাঝে তা শেয়ার করছি।

অত্যাধিক দামের কারনে বইটা দু তিনবার কিনতে চেষ্টা করেও পারি নি। দোকানদার ২০০ টাকার নিচে বেচবে না।অবশেষে বাধ্য হয়ে পিডিএফটাই পড়তে হলো।
জীবনী টাইপের বইগুলোতে হুমায়ুনের লেখা আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে সাধারনত। এটাও ব্যতিক্রম না ।অসাধারন লেগেছে এক কথায়। প্রিয় হুমায়ুনের তালিকায় আরো একটা বই যুক্ত হলো।

নিচের লিংক থেকে ১২ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় হুমায়ূন আহমেদ এর এই জনপ্রিয় উপন্যাস এর বইটি পড়ে নিতে পারবেন।

ডাউনলোড

সম্রাট বাবরের পুত্র হুমায়ুনের জীবন নিয়ে লেখা ঐতিহাসিক উপন্যাস। সম্রাটের নামও হুমায়ুন আর লেখকের নামও হুমায়ুন! দারুণ উপন্যাস। দারুণ বলতে মজার। বাদশা হুমায়ুনের জীবনের সবটাই মজায় মজায় ভরপুর। কী বিচিত্র আর অসাধারণ গল্পে ভরা জীবন। এক জীবনে এতকিছু কীভাবে সম্ভব!
হুমায়ুন আহমেদের (লেখক) অনেক উপন্যাসই আছে মজার। এখন সেসব মজার উপন্যাসগুলিকে যদি সাধারণ ধরে নেই তবে সাধারণের মাঝে মজার হবে “বাদশাহ নামদার”।
আমাদের শহরের বই বিক্রেতা আলী লাইব্রেরীর মালিককে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। উনি আমার মতোই জানিয়েছেন। উনি নিজে এই উপন্যাস পড়েছেন এবং মজা পেয়েছেন। 😀
পকেট সাইজের বই হওয়াতে বইটা আরামে আরামে পড়ে ফেলা যাবে। হুমায়ুনের জীবনী নিয়ে এই বইটার কালেবর আরও অনেক বড় হতে পারতো। হতে পারতো ‘প্রথম আলো’ ‘পূর্ব পশ্চিম’এর মত বই। কে জানে লেখকের মাঝে থাকা প্রবল পেশাদারিত্বের কারণে হয়তোবা এমনটা না হয়ে থাকতে পারে।
যাহোক বইয়ে আমার কিছুটা খটকা লেগেছে। যেমন বাদশা হুমায়ুন জ্যোতিষবিদ্যা অনুসরণ করতেন। গ্রহ নক্ষত্র বিচার করে একেক দিনে একেক রঙের পোশাক পরতেন। মঙ্গলবারে পরতেন মঙ্গলগ্রহের লাল রঙের পোশাক। অবশ্যই তিনি জীবনের কিছুটা সময় মঙ্গলবারে লাল পোশাক পরতেন, কিন্তু সেটা কি মঙ্গল গ্রহের লাল রঙের জন্য? পনের শতকে মোঘলরা কীভাবে জানল যে মঙ্গল গ্রহ লাল? এটা কি বইটা পড়তে গিয়ে আমার বোঝার সমস্যা? নাকি হুমায়ুন আহমেদের ত্রুটি(ভুল)? উল্লেখ্য হুমায়ুন আহমেদ তার “জোছনা ও জননীর গল্প” বইতেও জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ভুল করেছিলেন। [সুত্র: জাফর ইকবালের কোনো একটা নন-ফিকশন বই।]
আরেকটা ব্যপার হুমায়ুন কন্যার শিক্ষক হরিশংকরকে নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। মূল উপন্যাসের সাথে হরিশংকরের কাহিনীর কী ভূমিকা তা আমি ধরতে পারি নি। এই চরিত্রটাকে নিয়ে এত পরিমাণ শব্দ বরাদ্ধ করাকে আমার কাছে অযথা ব্যয় বলে মনে হয়েছে। একটা সময় পর এই চরিত্রকে নিয়ে কোনো কথা না বলে থামিয়ে দিলেও হতো। আপনারা যারা বইটা পড়েছেন তারা কি এর পেছনের কারণটা পেয়েছেন? আমি পেতে চাই। আমি নিজে নিজে যেটা বের করলাম, তখনকার সতী দাহের বর্বর প্রথা লেখককে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়েছিল। এবং এই গোরা ব্রাহ্মণ দুজন নিষ্পাপ শিশুকে পুড়িয়ে মারার ব্যবস্থা করেছে। তাদের করুণ মৃত্যুর জন্য সেই দায়ী। এটা হয়তো লেখককে বিদ্ধ করেছিল। তাই তিনি একপর্যায়ে এই ব্রাহ্মণের পচে গলে কুষ্ঠে আক্রান্ত হবার দৃশ্যটাকে দেখিয়েছেন এবং শেষে দেখিয়েছেন ঘরে নিজের জ্বালানো কুপির আগুন থেকে ঘরে আগুন লেগে নিজে পুড়ে যেতে।
সবশেষে আবারো বলব বইটা অসাধারণ। বইটা একটা মহাকাব্য হতে পারতো। হুমায়ুন আহমেদের অভাব অনুভব করছি। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তোবা অন্য বাদশাদের নিয়েও লিখতেন।

আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর বাদশাহ নামদার বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর বাদশাহ নামদার বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।

Share