![পৃথিবীর শেষ কমিউনিস্ট – নবারুণ ভট্টাচার্য](https://bn.bdebooks.com/wp-content/uploads/2021/09/পৃথিবীর-শেষ-কমিউনিস্ট-নবারুণ-ভট্টাচার্য-185x278.jpg)
ফোবিয়ানের যাত্রী pdf বাংলা বই। ফোবিয়ানের যাত্রী – মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা একটি বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী এর বই। তার “ফোবিয়ানের যাত্রী ” বইয়ের একটি পিডিএফ (pdf) ফাইল ই বুক (eBook) আমরা অনলাইনে খুজে পেয়েছি এবং মুহম্মদ জাফর ইকবাল (Muhammed Zafar Iqbal) এর অসাধারণ বইটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আপনারা যেকোন সময় বইটি আমাদের ওয়েব সাইট থেকে ডাউনলোড করে এবং অনলাইনে পড়তে পারবেন। ১০৮ পাতার ফোবিয়ানের যাত্রী বাংলা বইটি (Bangla Boi) একটি অধিক পঠিত গল্প যা ২০০৩ সালে সময় প্রকাশন প্রথম প্রকাশ করে।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর ফোবিয়ানের যাত্রী বাংলা বইটি সম্পুর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড এবং পড়তে পারবেন। আমরা মুহম্মদ জাফর ইকবালের ফোবিয়ানের যাত্রী বই এর পিডিএফ কপি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের মাঝে তা শেয়ার করছি। মুহম্মদ জাফর ইকবালের অন্যান্য গল্প, উপন্যাস, কাব্যগ্রন্থ, কবিতার বই সমূহ পড়তে আমাদের সাইটে চোখ রখুন। নিচের লিংক থেকে ০৮ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর এই জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী এর বইটি পড়ে নিতে পারবেন।
‘ফোবিয়ানের যাত্রী’ গল্পটি এক অসাধারণ মহাজাগতিক যাত্রাকে ঘিরে। গল্পটির মূল চরিত্র ইবান নামের মহাকাশযান ক্যাপ্টেনের। ইবানের মায়ের স্বপ্ন ছিল যে তার ছেলে হবে এক হৃদয়বান মানুষ। তাই জিনেটিক ইঞ্জিয়ারিং করে ইবানের মা তার মধ্যে শুধু ভালোবাসা নামের অসাধারণ গুণটি প্রবেশ করায়। জিনেটিক ইঞ্জিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অন্যান্য গুণগুলো না পাওয়ায় ইবানকে জীবনের পদে পদে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। তবুও জিনেটিক গুণ না থাকা সত্ত্বেও নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করে ইবান চতুর্থ মাত্রার মহাকাশযান চালানোর সুযোগ পায়। ইবানের মা অন্য একটা গ্রহের কলোনিতে চলে যায়। জীবনের উদ্দেশ্য বোঝার তার খুব ইচ্ছা রিতুন ক্লিস নামের এক মৃত মহাপুরুষের সাথে তার ব্রেইনের নিউরন ম্যাপিংয়ের সাহায্যে কথা বলার খুব ইচ্ছা। আর এই জন্যে প্রয়োজন একটা ৫ম মাত্রার মহাকাশযানের নিউরাল নেটওয়ার্ক। আর সৌভাগ্যক্রমে এই নতুন ধরনের ৫ম মাত্রার কার্গো মহাকাশযান চালানোর সুযোগ পায় ইবান। মহাকাশযানটির নাম ‘ফোবিয়ান’। ম্যাটার-এন্টিম্যাটার ইঞ্জিন থেকে শুরু করে নিউক্লিয়ার অস্ত্রধারী রবোট পর্যন্ত কি নেই এতে! তবে মহাকাশযানটিতে বয়ে নিয়ে যেতে হবে শীতল ঘরে ঘুমন্ত ভয়ংকর সন্ত্রাসী ম্যাংগেল ক্বাসকে। নির্ধারিত দিনে ইবান তার মায়ের কাছে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাকালে একদিন ইবান ইচ্ছা করে হঠাৎ মহাকাশযানটির গতির হেরফের করায় বিরাট ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। এতে শীতলঘর থেকে ম্যাংগেল ক্বাসের সাথে সাথে মিত্তিকা নামের এক মেয়ে জেগে ওঠে। পরে আস্তে আস্তে মেয়েটির সাথে ইবান ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ায়। ক্বাস জেগে ওঠার পরে আরেক রোমহর্ষক অ্যাভেঞ্চারের শুরু হয়। ক্বাস মহাকাশযানের দখল নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। ক্বাস আসলে একজন হাইব্রিড মানব ছিল। ফলে ইবান কিছুতেই ক্বাসের সাথে পেরে উঠছিল না। মহাকাশযানের উপর কর্তৃত্ব নেওয়ার পর ক্বাস তার অন্য সহযোগীদের উদ্ধারের জন্য একটি গ্রহে যায়। কিন্তু সবাই গ্রহটিতে আগেই মারা যায়। মৃত সহযোগীদের অন্য একটি সত্তা নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। শেষে তারা ক্বাসকেই আক্রমণ করতে থাকে। ইবান ও মিত্তিকা ক্বাসকে গ্রহটিতে একা ফেলে রেখে যেতে পারতো। কিন্তু ইবানের সহৃদয়তার কারণে ক্বাস রক্ষা পায়। মহাকাশযানে ফেরার পর ক্বাসও মিত্তিকার প্রেমে পড়ে যায়। ফলে দরকার হয় সবার উপর কর্তৃত্ব পাওয়া। তাই সে ইবানসহ মিত্তিকাকেও হাইব্রিড মানবে পরিণত করতে চায়। শেষে উপায় না দেখে ইবান মহাকাশযানটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে পৃথিবীর সাথে যানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা ভাবে যে ইবানরা মারা গেছে। ইবানের মায়ের কাছে খবরটি গেলে তিনি আত্মহত্যা করেন। কিন্তু রিতুন ক্লিসের সহযোগীতায় শেষমেশ ইবানরা বেচে যায় এবং পরে ইবান ক্বাসকে নিয়ন্ত্রণে নেয়। শেষে মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ইবান ভেঙে পড়ে। এরপর মিত্তিকা ইবানকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করার প্রতিজ্ঞা করার মাধ্যমে অসাধারণ গল্পটির সমাপ্তি হয়। ফোবিয়ানের যাত্রী গল্পটি পড়ে প্রকাশক এটিকে তাদের ওয়েবসাইটে ইবুক আকারে রেখে দেয়। মজার কথা হলো বাংলা ভাষার প্রথম ইবুক হলো এই ‘ফোবিয়ানের যাত্রী’ বইটিই। আমার পড়া শ্রেষ্ঠতম সায়েন্স ফিকশনগুলির মধ্যে ফোবিয়ানের যাত্রী অন্যতম। কেনইবা হবে না! বইটিতে আছে সুন্দর একটি ভালোবাসার গল্প, আছে উত্তেজনাকর একটি অ্যাভেঞ্চারের গল্প, আছে বেদনাময় মুহূর্তও।
আশা করছি, মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর ফোবিয়ানের যাত্রী বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে । মুহম্মদ জাফর ইকবাল (Muhammed Zafar Iqbal) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর ফোবিয়ানের যাত্রী বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।