ফিহা সমীকরণ pdf বাংলা বই। ফিহা সমীকরণ – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। আমাদের টিম তার “ফিহা সমীকরণ” বইটি সংগ্রহ করেছে এবং আপনাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর এই অসাধারণ বইটি শেয়ার করা হয়েছে । আপনারা খুব সহজের “ফিহা সমীকরণ” বইটি পড়ে ফেলতে পারবেন যে কোনো মুহূর্তে।আপনার পছন্দের যে কোনো বই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমাদের সাইটে । ৫৮ পাতার ফিহা সমীকরণ বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা অনলাইবাংলা বইটি (Bangla Boi) স্ক্যন কোয়ালিটি অসাধারণ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে এবং বইটি প্রকাশ করে আফসার ব্রাদার্স।
হুমায়ূন আহমেদ এর ফিহা সমীকরণ বাংলা বইটি সম্পুর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড এবং পড়তে পারবেন। আমরা হুমায়ূন আহমেদ এর ফিহা সমীকরণ বই এর পিডিএফ কপি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের মাঝে তা শেয়ার করছি।
ভবিষ্যতের কোন এক সময়ে, মানবজাতি দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে টেলিপ্যাথি আর মাইন্ড কন্ট্রোল এর ক্ষমতা সম্পন্ন মেন্টালিস্ট আর আরেক ভাগে সাধারণ মানুষের দল। যে দল সবচাইতে বেশি শক্তিশালী প্রকৃতিতে তারাই টিকে থাকবে, বাকিরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বিজ্ঞান পরিষদ প্রধান ফিহা একাই লড়ে চলেছেন মানুষের পক্ষে, মানুষ যাতে টিকে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে তার। কিন্তু মেন্টালিস্টরা কি তাকে সেই কাজে সফল হতে দেবে?
নিচের লিংক থেকে ০৫ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় হুমায়ূন আহমেদ এর এই জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী এর বইটি পড়ে নিতে পারবেন।
রুন ৩৫০০ খ্রিস্টাব্দের এক কাল্পনিক পৃথিবী যেখানে মেন্টালিস্ট নামের এক মনুষ্য প্রজাতি সাধারণ মানুষের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। কেমন লাগবে? এখন মনে হচ্ছে না রাগে শরীর কেঁপে উঠছে? মনে হচ্ছে এখনই ওদের ধ্বংস করে দেই? কিন্তু এই আলাদা ধরনের মনুষ্য প্রজাতি তো আর একা একা সৃষ্টি হবে না। কারণ প্রকৃতি এমন ধরনের মানুষ কখনই জন্মানো সমর্থন করবে না। কিন্তু যদি কোন বিজ্ঞানী এমন কাজ করে বসে তাইলে কেমন হবে? জী, হুমায়ূন আহমেদ তাঁর ‘ ফিহা সমীকরণ ‘ বইয়ে ৩৫০০ খ্রিস্টাব্দের এমন এক কাল্পনিক শহর আর মনুষ্য প্রজাতি নিয়ে সায়েন্স ফিকশন ভিত্তিক গল্প ফেঁদেছেন যেখানে মেন্টালিস্ট নামের মনুষ্য প্রজাতি সাধারণ মানুষের উপর ছড়ি ঘুরায়।
নিউ মেক্সিকো শহরে ৩০০৫ খ্রিস্টাব্দে এমব্রায়োলজিস্টদ ের এক সম্মেলনে এংগেল হার্স্ট নামের এক বিজ্ঞানী তার বৈজ্ঞানিক নিবন্ধে ঘোষণা দেন তিনি এমন এক মনুষ্য প্রজাতি ল্যাবরেটরিতে তৈরি করছেন যাদের জিনে তিনি ‘ ইরিকার্বো ফসফিন’ ঢুকিয়ে দিয়েছেন যেটা রোবটের চোখের আলোর সংবেদনশীল অংশ তৈরিতে কাজে লাগে। এতে করে মানব সম্প্রদায় নাকি প্রচন্ড মানসিক ক্ষমতার অধিকারী হবে। অন্য মানুষদের তাদের চিন্তায়, কর্মে প্রভাব ফেলতে পাড়বে। সম্মেলনে সবাই হার্স্টকে পাগল বলে বিদ্রুপ করলেও ততদিনে তিনি ২১ টি শিশুর জিনে ইরিডিয়াম ঢুকিয়ে দিয়েছেন। হার্স্ট এর এই কাজের জন্য ফাঁসি দেওয়া হলেও তাঁর তৈরি করা নতুন মানুষদের মধ্যে ৭ জন বেঁচে রইল যারা নিজেদের মধ্যে বিয়ে করে সন্তানাদির জন্ম দিল। এরাই মেন্টালিস্ট হিসেবে পরিচিত পেয়ে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেল। এদের বাসস্থান আলাদা জায়গায়। মাটির নিচে। যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার নেই। অন্যদিকে ৫০ বছর বয়সী বিখ্যাত তাত্ত্বিক পর্দাথবিদ মহামতি ফিহা, যিনি ছোটবেলায় মেন্টালিস্ট পরিবারে বড় হলেও ১২ বছর বয়সে তাদের ছেড়ে চলে আসেন। তিনি সময় সমীকরণ নিয়ে গবেষণার কাজে সবসময় রত থাকেন কারণ তিনি মেন্টালিস্টদের কাজ- কর্মে খুব বিরক্ত আর তাই তিনি অতীতে ফিরে গিয়ে সেই মেন্টালিস্ট তৈরির প্রক্রিয়াটি ভেঙে দিতে চান।
মেন্টালিস্টরা মানুষের মস্তিষ্কের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও ফিহার মস্তিষ্কের কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পাড়ত না কারণ ফিহার পালক পিতা- মাতা তার মস্তিষ্ক সর্বদা পাহারা দিত। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফিহার জীবনে নুহাশ নামের এক তরুণী আসে যাকে তিনি বিয়ে করতে চান। ফিহার বিশাল বাসায় থাকে তিনটি রোবট। যাদের কাজ ফিহাকে সঙ্গ দেয়া, রান্না করে দেয়া আর বাড়ি পাহারা দেওয়া। ফিহা মেন্টালিস্টদের দেখতে না পাড়লেও মারলা লি নামের একজন মেন্টালিস্ট এর সাথে সখ্য ছিল। মারলা লিয়ের থেকে তাদের জীবন- যাপন সর্ম্পকে বই পড়ে ফিহা দূর্যোগপূর্ণ রাতে সময় সমীকরণের কাজ নিয়ে খুব অস্থির হয়ে উঠেন। তিনি যখন খবর পান তার পালক পিতা- মাতা মৃত্যু শয্যায় তখন তিনি তাদের দেখতে মেন্টালিস্টদের জন্য সংরক্ষিত এলাকায় গেলে তাদের থেকে ফিহা এক ভয়ংকর সত্যের মুখোমুখি হন।
যা তার জীবনে বয়ে আনে এক মর্মান্তিক দূর্ঘটনা। হুমায়ূন স্যারের সায়েন্স ফিকশন উপন্যাসগুলো পড়তে ভালো লাগে কারণ তিনি পদার্থ আর গণিতের বিষয়গুলো এত সহজ করে বুঝিয়ে দেন যে মাঝে-মাঝে মনে হয় স্যার বেঁচে থাকাকালীন উনাকে দিয়ে সরকার যদি পর্দাথ আর গণিতের বইগুলো স্কুলগামী ছাত্রদের জন্য লিখিয়ে নিতেন তাহলে এই দুইটা বিষয়ের প্রতি আর ভয় কাজ করত না। তা তো আর হবার নয়। যাইহোক, হুমায়ূন ভক্তরা আপনারা স্যারের শুধু হিমু, মিসির আলী, প্রেমের উপন্যাস না পড়ে তাঁর সায়েন্স ফিকশনগুলো পড়তে পারেন। গ্যারান্টি আপনারা অনেককিছুই শিখতে পাড়বেন।
আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর ফিহা সমীকরণ বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর ফিহা সমীকরণ বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।