![মহানায়ক লেনিন – দেবেশ রায়](https://bn.bdebooks.com/wp-content/uploads/2019/12/মহানায়ক-লেনিন-দেবেশ-রায়-185x278.jpg)
চলে যায় বসন্তের দিন – হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশকাল : ফ্রেব্রুয়ারী ২০০২
পৃষ্ঠা : ১০৪
ISBN : 984 868 176 0
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
”চলে যায় বসন্তের দিন।”
কী অদ্ভূত কথা! বসন্তের দিন কেন চলে যাবে? কোনো কিছুই তো চলে যায় না। এক বসন্ত যায়, আরেক বসন্ত আসে। স্বপ্ন চলে যায়, আবারো ফিরে আসে।
আমি হিমু!
আমি কেন বলব- ‘চলে যায় বসন্তের দিন।’ আমার মধ্যে কি কোনো সমস্যা হয়েছে? সী সেই সমস্যা?
উপন্যাসটা শুরু হয়েছে মাজেদা খালার চিঠি দিয়ে। চিঠির সাথে পাচশ টাকার নোট। মাজেদা খালার চিঠি লেখার একটা স্টাইল। চিঠির সাথে টাকা ওেয়ার একটা পুরোনো গল্প আছে। খুব ছোটবেলায় মাজেদা খালার মামা তাকে একটি চিঠি লিখলেন, চিঠির সঙ্গে চকচকে দশ টাকার একটি নোট। তখনই মাজেদা খালার মনে এই ব্যাপারটি ঢুকে গেলো। তারপর থেকে এই ঐাতহ্য বহাল রেখেছেন। হিমুর খালাতো ভাই জহির হঠাৎ করে একটি মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছে। সে মেয়ের নাম ফুলফুলিয়া। মাজেদা খালার মতে সেই মেয়ে এবং তার সব আত্মীয়-স্বজন ভাড়া খাটা টাইপ লোক, যাত্রাপালায় কাজ করে।ফলাফল, বাংলা ছবির চিরায়ত দৃশ্যের মত জহিরের মা-বাবা কেউ এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি নন। হিমু অবশ্য চিঠি পড়ে তেমন একটা চিন্তিত হলো না। তার মতে, দড়ি দেখলেই যারা সাপ মনে করে, মাজেদা খালা তার চেয়েও দুই ডিগ্রি উপরে। জহির অতি ভালো ছেলে। সে যে কতটা ভালো, তা বোঝানোর জন্য একটা অতি যথেষ্ট না। অন্তত তিনবার অতি শব্দটি ব্যবহার করতে হবে। “অতি অতি অতি ভালো ছেলে।” তবে খুব ভালো ছাত্র হলেও জহিরের স্বপ্ন সে একটি কফিশপ দিবে যার নাম “শুধুই কফিতা”(এই নামের পেছনেও ছোট্ট একটি গল্প রয়েছে, পাঠক বইটি পড়ে জেনে নিবেন)। ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিতে হিমু গেলো মাজেদা খালার বাসায়। দেখা যাক কি হয়!—পাঠকদের কাছে হিমুর এত জনপ্রিয়তার কারন কি এই প্রশ্নের জবাবে এক সাক্ষাৎকারে হুমায়ুন আহমেদ বলেন, “যে কারনে আমার ধারনা পাঠকরা এত পছন্দ করে,এরা হতে চায়,করতে চায়।এরা চায় যে আমার আধ্যাত্বিক ক্ষমতা থাকবে,আমি মানুষের ভূত ভবিষ্যত বলে দিতে পারবো।সবার মনের একটা গোপন বাসনা পথে ঘাটে আমি হেটে বেঁড়াবো,কেউ আমাকে কিছু বলবে না।আমাকে কোনো চাকরি করতে হবে না।কোনো কিছুই করতে হবে না,আমার জীবন চলবে জীবনের মত।এই যে গোপন ইচ্ছাগুলি থাকে এইগুলি আমি পূরন করি হিমু উপন্যাসে।’