কোথাও কেউ নেই – হুমায়ূন আহমেদ

কোথাও কেউ নেই pdf বাংলা বই। কোথাও কেউ নেই – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। আমাদের টিম তার “কোথাও কেউ নেই” বইটি সংগ্রহ করেছে এবং আপনাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর এই অসাধারণ বইটি শেয়ার করা হয়েছে ।  আপনারা খুব সহজের “কোথাও কেউ নেই” বইটি পড়ে ফেলতে পারবেন যে কোনো মুহূর্তে।আপনার পছন্দের যে কোনো বই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমাদের সাইটে । ২৫৩ পাতার কোথাও কেউ নেই বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা অনলাইবাংলা বইটি (Bangla Boi) স্ক্যন কোয়ালিটি অসাধারণ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে এবং বইটি প্রকাশ করে কাকলী প্রকাশনী।

বইয়ের বিবরণ

  • বইয়ের নামঃ কোথাও কেউ নেই
  • লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
  • প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারী ১৯৯২
  • প্রকাশকঃ কাকলী প্রকাশনী
  • সাইজঃ ১৩ এমবি
  • ভাষাঃ বাংলা (Bangla/Bengali)
  • পাতা সংখ্যাঃ ২৯৩ টি
  • বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস
  • ফরম্যাটঃ পিডিএফ (PDF)

কোথাও কেউ নেই বই রিভিউঃ

হুমায়ূন আহমেদ এর কোথাও কেউ নেই বাংলা বইটি সম্পুর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড এবং পড়তে পারবেন। আমরা হুমায়ূন আহমেদ এর কোথাও কেউ নেই বই এর পিডিএফ কপি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের মাঝে তা শেয়ার করছি।

কিছু কিছু বই পড়লে সে সম্পর্কে লিখতে ইচ্ছা করে । কিন্তু বইয়ের ভিতরের শক্তি মাঝে মাঝে এতটা বেশি হয়ে যায় যে তখন আশেপাশের পরিবেশেও তার একটা প্রভাব ফেলে দেয় । মন খারাপ করার মত বই । নি:সন্দেহে । বলা যায় এরকম বই খুব কমই পড়েছি আমি ।

নিচের লিংক থেকে ১৩ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় হুমায়ূন আহমেদ এর এই জনপ্রিয় উপন্যাস এর বইটি পড়ে নিতে পারবেন।

ডাউনলোড

কোথাও কেউ নেই প্রথম পড়েছি বড় হয়ে. প্রথমে দেখেছি একদম ছোটবেলায়, নাটক হিসাবে। নাটক? হ্যাঁ, বিটিভিতে। কী দেখেছি, মনে নেই ঠিক। শুধু মনে আছে ছুটকো কিছু দৃশ্য…
তমালিকা কর্মকার করেছিলেন রহস্যময় সাদা ভাড়াটে বাড়ির তিন সুন্দর মেয়ের মধ্যে একজনের চরিত্র, অদ্ভুদভাবে নাকি গলায় কথা বলতেন ইচ্ছাকৃতভাবে। একটা সাদা কুকুর ছিল সে বাড়ির পোষা, বাড়ির মালকিনকে বলা হতো কুত্তাওয়ালী।
আমাদের স্কুলে যাওয়ার পথে এক দোকানের দেয়ালে চিকা মারা হয়েছিল সেসময়।
”বাকের ভাইয়ের মুক্তি চাই, কুত্তাওয়ালীর ফাঁসি চাই”–বহুদিন, বহুবছর ধরে স্কুল থেকে ফেরার পথে সেই দেয়াল লিখন চোখে পড়তো.. মনে আছে।

সেই দেয়াল নেই আর, দোকান ভেঙে বাড়ি উঠেছে বহুতল। আমিও নেই আর ওই শহরে, ওই রাস্তায়, ওই গলিতে। বয়স বেড়েছে ঢের জীবনানন্দের নর -নারীদের, আমারো। তবুও গুডরিডসের হাইপ দেখে বহুসময় পর ফের পড়া হলো কোথাও কেউ নেই।
এবং শেষ করলাম বিরক্ত হয়ে।

একেবারেই ভাল্লাগে নাই? নাহ, ঠিক তা নয়. ভাল লেগেছে।
একটানে, এক বৈঠকে পড়েছি, সেটা দেখেও নিজের কাছে ভাল লেগেছে। অন্ধের মতো যে অভ্যাস ছিল আজীবনের, বই পেলে পৃথিবী ভুলে যাওয়া, এই বয়সে, এতো ব্যস্ত জীবনেও সেই পুরোনো তিথী হারিয়ে যায়নি বলে…

আর ভাল না লাগার অংশ?
একাধিক বার মেয়েমানুষ নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা।
মেয়েমানুষ চাকরি করে, তাতে কী ক্ষতি হয়, মানসিকভাবে শক্ত সমর্থ মেয়েরা হয় পুরুষালি টাইপ, অতএব তাদের ভাল্লাগে না, মেয়েরা হবে কুসুমকলি, যেমন হওয়া উচিত, টোকা দেয়ার আগেই গায়ে ঢলে পড়বে…
ওহ, সিরিয়াসলি?

কী ছিল হুআর উদ্দেশ্য, এমন টোনে লেখার পেছনে? সার্কাজম?
নাকি অন্তঃনিহিত ইচ্ছে, বিশ্বাস করতেন-ই তাই? শীর্ষেন্দু যেমন ‘যাও পাখি তে লেখেন আট-ন বছর তো চমৎকার বটেই, আরেকটু বয়সের তফাৎ হলেই আসলে দাম্পত্যজীবন মধুর হয়। ঐ ‘কচি মেয়ে’ ফিলোসফি আর কী, বুঝেনই তো। 😉

মামুনের সঙ্গে টানা পেম এবং বহু সাধের বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় নিঃসঙ্গ মুনা আর আসন্ন বিয়ের স্বপ্নে উচ্ছসিত বকুলের আনন্দ দেখে হিংসিত মুনা কি বোঝায়; বিয়েই নারীর অবলম্বন?
বোঝায় শক্ত, গৃহবধু টিনাভাবীর যা মত– সো কলড পুরুষালী, স্বাধীনচেতা, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মেয়েদের পরিণতি আদতে হবে মুনার মতো, যে শেষ পর্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়ে পাড়ার রবিন হুড ক্যাটাগরির মাস্তান বাকের ভাইয়ের প্রতি, কারণ সঙ্গী হিসেবে, অবলম্বন হিসেবে তখন তার তার পাশে কোথাও,কেউ নেই?

আরো ‘নারীবাদী’ বিবমিষা উগড়াব ভেবেছিলাম, স্যারের মুরিদেরা মাব্বে। কাল থেকে অফিসিয়ালি ঈদের ছুটি শুরু, হাতেও ম্যালা কাজ জমা।

আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর কোথাও কেউ নেই  বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর কোথাও কেউ নেই বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।

Share