আমার আছে জল – হুমায়ূন আহমেদ

আমার আছে জল pdf বাংলা বই। আমার আছে জল – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। আমাদের টিম তার “আমার আছে জল” বইটি সংগ্রহ করেছে এবং আপনাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর এই অসাধারণ বইটি শেয়ার করা হয়েছে ।  আপনারা খুব সহজের “আমার আছে জল” বইটি পড়ে ফেলতে পারবেন যে কোনো মুহূর্তে।আপনার পছন্দের যে কোনো বই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমাদের সাইটে । ৬০ পাতার আমার আছে জল বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা অনলাইবাংলা বইটি (Bangla Boi) স্ক্যন কোয়ালিটি অসাধারণ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে এবং বইটি প্রকাশ করে শিখা প্রকাশনী।

বইয়ের বিবরণ

  • বইয়ের নামঃ আমার আছে জল
  • লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
  • প্রকাশিতঃ এপ্রিল ১৯৮৫
  • প্রকাশকঃ শিখা প্রকাশনী
  • সাইজঃ ১২ এমবি
  • ভাষাঃ বাংলা (Bangla/Bengali)
  • পাতা সংখ্যাঃ ৬০ টি
  • বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস
  • ফরম্যাটঃ পিডিএফ (PDF)

আমার আছে জল বই রিভিউঃ

হুমায়ূন আহমেদ এর আমার আছে জল বাংলা বইটি সম্পুর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড এবং পড়তে পারবেন। আমরা হুমায়ূন আহমেদ এর আমার আছে জল বই এর পিডিএফ কপি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের মাঝে তা শেয়ার করছি।

সাব্বিরের খুব ইচ্ছা একটি ছবি তোলার। দিলুর ছবি। কিশোরী একটি মেয়ে যার বয়স পনের ছুঁতে চলেছে। দীঘির জলে লাল শাড়ী পরে সাঁতরে পাড়ি দেবে মেয়েটি। আর স্বচ্ছ পানির বুকে ফুটে ওঠা লাল নাকি মৎস্যকন্যার অবয়ব সৃষ্টি করবে। আর সাব্বির সেই স্রোতময়ী কিশোরীকে ফ্রেমে বন্দী করবে।

দিলুর শাড়ী ছিল না। ছিল লাল স্কার্ট। দিলু দীঘির জলে ভেসেছিল। সেদিন ভোরে সাব্বিরের হাতে ক্যামেরাও ছিল। তবু ছবিটা তোলা হলনা। কারণ দিলু যে কথাটি কাউকে বলে যেতে পারিনি। নিশ্চুপ শীতের একাকীত্ব ভোরে সবাইকে অভিমান নিয়ে দেখিয়ে গিয়েছে

আমার আছে জল , আমার আছে জল
আমার আছে জল , আমার আছে জল
সেই জলে যেনো পদ্ম পুকুর
মেঘলা আকাশে মধ্য দুপুর
অচেনা এক বন বাঁশি সুর
বিষাদে কোমল
আমার আছে জল , আমার আছে জল
আমার আছে জল , আমার আছে জল
আমার একা সেই কালো দিঘি
একাই আমি জলে নামি
আর কেউ নেই তো কাছে ও দূরে
অন্য ভুবনে থাকো তুমি
আমার একার সেই দীঘিতে ফোটাই নীলকমল
আমার আছে জল , আমার আছে জল
আমার আছে জল , আমার আছে জল
ঝুম বরষা ঘন কালো মেঘে
উল্লাসে নাচি একা আমি
কেউ নেই পাশে মেঘে বৃষ্টিতে
ভিন গ্রহবাসি আজ তুমি
আমার একার জলত সবই শুধু অস্রুজল
আমার আছে জল , আমার আছে জল
আমার আছে জল , আমার আছে জল।

গানটি উপন্যাসিকাতে উল্লেখ করা হয়নি। অনস্ক্রীনে ব্যবহার করা হয়েছে। গানটি নিয়ে কাজ করেছেন হাবীব ওয়াহিদ।
কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে গানের কথাগুলো না পড়লে কিংবা না শুনলে দিলুর অনুভূতগুলোকে পুরোপুরি স্পর্শ করা যাবে না।

একটি নারী দুইবার জন্ম নেয়। একবার রক্ত মাংস নিয়ে আরেকবার প্রথম প্রেমকে পাবার প্রার্থনা নিয়ে। দিলুও ছিল সেই নারীদের প্রতিনিধি । কিশোর বয়সের প্রথম প্রেমের প্রার্থনা সে কখন নারী হয়ে উঠেছিল কেউ খেয়াল করেনি। কিন্তু শেষ লাইনে দিলু দেখিয়ে গেল। বয়স দিয়ে নারীকে বাঁধতে নেই। একটি মেয়ের নারী সত্ত্বা চিরন্তন।

রিটায়ার্ড আই জি ওসমান সাহেবের পরিবারের ভ্রমণবিলাস থেকে শুরু হয় গল্পটির। স্ত্রী রেহা না বড় মেয়ে নিশাত, ছোট মেয়ে দিলু, জামাতা বন্ধু জামিল, দূর সম্পর্কে আত্নীয় সাব্বির এবং আর কিছু চরিত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে মূল গল্পটির ভিত্তি। মাত্র চার ফর্মা বইটির ভেতর গল্প নিয়ে কিছু বলতে চাইনা। শুধু বলব যারা পড়েন নি পড়বেন। আর প্লট দিয়ে নয় বিচার করবেন প্রতিটি চরিত্রের একে অন্যের প্রতি সম্পর্কের গভীরতা দিয়ে।

নিচের লিংক থেকে ১০ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় হুমায়ূন আহমেদ এর এই জনপ্রিয় উপন্যাস এর বইটি পড়ে নিতে পারবেন।

ডাউনলোড

রেল স্টিশনের নাম “সোহাগী” এই স্টেশন থেকে উপন্যাস এর শুরু। রিটায়ার্ড আইজি ওসমান সাহেব তার স্ত্রী, দুই মেয়ে নিশাত, দিলু, আর ও আছে নিশাতের শিশুকন্যা, দুই যুবক একজনের নাম জামিল অন্য জন সাব্বির। সাব্বির একজন প্রবাসী ফটোগ্রাফার। এছাড়া ও সাথে দুইজন কাজের লোক এবং তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন সোহাগী থানার ওসি। ওসমান সাহেব সপরিবার নীলগঞ্জ ডাকবাংলো ছুটি কাটাতে এসেছেন।

এই উপন্যাসটা মুলত দিলু এবং নিশাতকে নিয়ে এরাই গল্পের প্রধান চরিত্র। নিশাত,, অসম্ভব রুপবতী একটা মেয়ে। বিয়ের কয়েক বছর পরই তার স্বামী মারা যায়।তার স্বামী ছিল কবির। আমুদে ছেলে।হৈচৈ করতো সবসময়। প্রচুর মিথ্যে কথা বলতো।নিশাতের মতে কবির এমন ছেলে যে পৃথিবীর যে-কোনো মেয়েকে বিয়ে করেই সুখী হতো।এই সব ছেলেদের সুখী হওয়ার ক্ষমতা অসাধারণ।কিন্তু নিশাত সুখী হতে পারেনি। দিলু,,, দিলুর বয়স চৌদ্দ বা পনেরো। এই বয়সে চেনা মেয়েগুলিকে ও অচেনা লাগে।বড় বেশি আবেগী মেয়ে অল্পতেই তার চোখে পানি আসে। ডাকবাংলোতে আসার পর থেকেই দিলু জামিলের প্রতি অন্য এক টান অন্য রকম অনুভূতি অনুভব করতে থাকে। দিলুর মা রেহানা বেগম সেটা বুঝতে পারেন এর জন্য তিনি বিরক্ত হয়ে আছেন।

এদিকে ফটোগ্রাফার সাব্বিরের নিশাতকে পছন্দ হয় এবং সে তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। নানা ঘটনার পর জামিল এর সাথে নিশাতের সম্পর্কের কথা জানতে পারে। এখন কি করবে দিলু? জামিল বা পরিবারকে জানাবে কি তার ভালবাসার কথা। সুন্দর একটা বই যারা পড়েননি পড়ে ফেলুন তারাতারি।

আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর আমার আছে জল বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর আমার আছে জল বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।

Share