আগুনের পরশমণি pdf বাংলা বই। আগুনের পরশমণি – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। আমাদের টিম তার “আগুনের পরশমণি” বইটি সংগ্রহ করেছে এবং আপনাদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর এই অসাধারণ বইটি শেয়ার করা হয়েছে । আপনারা খুব সহজের “আগুনের পরশমণি” বইটি পড়ে ফেলতে পারবেন যে কোনো মুহূর্তে।আপনার পছন্দের যে কোনো বই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন আমাদের সাইটে । ৮৭ পাতার আগুনের পরশমণি বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা অনলাইবাংলা বইটি (Bangla Boi) স্ক্যন কোয়ালিটি অসাধারণ। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে এবং বইটি প্রকাশ করে অন্যপ্রকাশ।
হুমায়ূন আহমেদ এর আগুনের পরশমণি বাংলা বইটি সম্পুর্ণ ফ্রীতে ডাউনলোড এবং পড়তে পারবেন। আমরা হুমায়ূন আহমেদ এর আগুনের পরশমণি বই এর পিডিএফ কপি সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের মাঝে তা শেয়ার করছি।
১৯৭১ সালের মে মাস। অবরুদ্ধ ঢাকায় ভীষণ নিস্তব্ধ রাতের বুক চিরে ছুটছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ির বহর। তীব্র হতাশা, তীব্র ভয়ে কাঁপছে বাংলাদেশের মানুষ। অবরুদ্ধ ঢাকার একটি পরিবারের কর্তা মতিন সাহেব ট্রানজিস্টার শোনার চেষ্টা করছেন মৃদু ভলিউমে। ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শোনার চেষ্টা করছেন। নব ঘোরাচ্ছেন ট্রানজিস্টারের। হঠাৎ শুনতে পেলেন বজ্রকণ্ঠের অংশ বিশেষ : ‘মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি / রক্ত আরও দিবঃ / এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম / এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।মতিন সাহেবের পরিবারে কয়েকদিন পর হাজির হন উনার বন্ধুর ছেলে বদি। বদি এবং তার সাথের মুক্তিযোদ্ধারা একের পর এক অভিযান করে সফলতা লাভ করে। কিন্তু এক এক করে তারা পাক বাহিনী র হাতে বন্ধী হয়। ধরা পড়েও গেরিলাযোদ্ধা রাশেদুল করিম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় থু থু ছিটিয়েছেন পাকিস্তানী মেজরের মুখে। হাতের আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে তাঁর। মাথা নোয়াননি। অবশেষে বদি গুলি খান। তাকে সারানোর মত ডাক্তার ঔষধের এর জন্য সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তিনি কি পারবেন সকাল পর্যন্ত বাচতে? তিনি কি আরেকটি সূর্যালোক দেখতে পাবেন? এভাবেই শেস হয় কাহিনী।
নিচের লিংক থেকে ১০ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় হুমায়ূন আহমেদ এর এই জনপ্রিয় মুক্তিযুদ্ধের এর বইটি পড়ে নিতে পারবেন।
শুরুটা যতো চাঞ্চল্যকর শেষটা ততোটাই গম্ভীর। বইটির মদ্ধ্যে দুঃখ বেদনা, অনুভুতিগুল খুব সহজে উপলব্ধি করা যায়। অনুভুতির নামে কোথাও নেকামোর প্রকাশ ঘটেনি। সহজেই গল্পের মাঝে হারিয়ে যাওয়া যায়।কখনো অলমকেক খুব অসাধারণ মনে হবে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের একজন যুবকে যেমন হওয়ার কথা সে তেমনি।
জুলাই মাসের ছয় তারিখ। ঢাকায় একটি গেরিলা বাহিনী ঢুকেছে। যার নেতৃত্বে আছে বদিউল আলম নামের ছেলেটি। দেখতে রোগা আর ছোটখাটো। শহরে আত্মীয়-স্বজন থাকলেও নিজের নিরাপত্তা এবং আত্মীয়পরিজনদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। মতিন সাহেব নামের এক ভদ্রলোকের বাসায় এক সপ্তাহের জন্য থাকে বদিউল আলম। মতিন সাহেবের পরিবারে তেমন কেউ নেই। স্ত্রী সুরমা আর দুই মেয়ে রাত্রি, অপালা এবং কাজের মেয়ে বিন্তি। রাত্রি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ফিজিক্সে পড়াশোনা করে। আর অপালা ক্লাস এইটে পড়ে। রাত্রি চুপচাপ স্বভাবের হলেও অপালা ভীষণ ছটফটে। সম্পূর্ণই বিপরীত।আর কাজের মেয়ে বিন্তি কোন কাজ আগ্রহ নিয়ে না করলেও বাড়ির গেট খোলার কাজ সে মহা আগ্রহ নিয়ে করে।বদিউল এ বাসায় উঠার পর সুরমা প্রথম একটু আপত্তি করেছিল তার থাকার ব্যাপারে। কারণ বাসায় দুজন মেয়ে আছে। তাদের নিরাপত্তার কারণেই তার আপত্তি ছিল। কিন্তু বদিউলেরর দূর্বিনীত রুপের কাছে হার মেনে যায় সুরমা।এই বদিউল ছেলেটাকেই এক সময় সুরমা ভীষণ পচ্ছন্দ করে ফেলে। এমনকি এ বাসার বড় মেয়ে রাত্রির মনেও বদিউল নামের ছেলেটি কখন যেন একটু জায়গা করে নেয়।
এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় মোটামুটি বড়সড় দুইটি অপারেশনের দায়িত্ব নিয়ে আসে বদিউলরা। প্রথম অপারেশনে সাকসেসফুল হয়। দ্বিতীয় অপারেশন শেষ করেই তার এ বাসা ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সব উলটপালট হয়ে যায় সেদিন। কি হয় সেদিন? রাত্রি কি তার মনের কথা জানাতে পারে বদিউলকে??
শেষটা ছিল কষ্টের তার থেকেও কষ্টের হল উপন্যাসের শেষ হয়ে যাওয়া।
আশা করছি, হুমায়ূন আহমেদ এর আগুনের পরশমণি বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed) এর অন্যান্য বাংলা বই ডাউনলোড করতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন আর আগুনের পরশমণি বইটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানতে ভুলবেন না।